নজরে: বাহুতুলে।
বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে আসারই হয়তো সময় হয়েছে সাইরাজ বাহুতুলের। যা ইঙ্গিত, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফল দিতে না পারা বাহুতুলেকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে সিএবি-তে।
মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে ঝামেলা করেই বাংলায় নিয়ে আসা হয়েছিল বাহুতুলেকে। সিএবি-তে তখন সচিব ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এখনকার মতো প্রেসিডেন্ট হননি। মূলত সৌরভেরই উদ্যোগে মুম্বইয়ের থেকে বাহুতুলেকে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলা। আশা করা হয়েছিল, ক্রিকেট জীবনে নাছোড় মানসিকতা দেখানো সাইরাজ বাংলার রঞ্জি ট্রফি খরা মেটাতে পারবেন। কিন্তু বাংলার রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে।
সম্ভবত সেই কারণেই বাহুতুলেকে নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করতে বাধ্য হয়েছে সিএবি। বৃহস্পতিবার ইডেনে যখন কেকেআর বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ চলছিল, যখন সুনীল নারাইন বনাম মহেন্দ্র সিংহ ধোনি দ্বৈরথ হচ্ছিল, যখন তরুণ শুভমান গিলের আলোয় আলোকিত হচ্ছিল ইডেন, তখনও ক্লাব হাউসে গুঞ্জন শোনা গেল বাহুতুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
অশোক মলহোত্রের জায়গায় বাংলার কোচ হিসেবে এসেছিলেন বাহুতুলে। সেই সময়ে তিনি মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব ২৩ দলের সঙ্গে কাজ করছিলেন। দু’বছরের চুক্তিতে এলেও বাংলার ক্রিকেটকে খুব বেশি এগিয়ে দিতে পারছেন, এমন বলা যাবে না। গত বারও রঞ্জি ট্রফিতে সেমিফাইনালে বাংলাকে ইনিংস ও ২৬ রানে হারায় দিল্লি। সেই ম্যাচের পরে অনেককে হতাশ ভাবে বলতে শোনা গিয়েছিল, এতটা একপেশে ভাবে কেন হারবে বাংলা? সেই সেমিফাইনালে বাংলার হয়ে খেলেছিলেন মহম্মদ শামির মতো জাতীয় তারকা। তার পরেও সম্মান উদ্ধার হয়নি।
বাহুতুলেকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছিল সে দিনই। এখন সম্ভবত অনিবার্য হয়ে উঠেছে তাঁর উত্তর এবং উত্তরসূরি খোঁজা। যদিও মনোজ তিওয়ারিদের নতুন কোচ কে হবেন, তা নিয়ে এখনও কোনও ইঙ্গিত নেই। তবে সিএবি প্রেসিডেন্টের নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হওয়ায় অনেকেই আশাবাদী, বাহুতুলেকে সরানো হলে ভাল কাউকেই আনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy