ডেল স্টেন, কাগিসো রাবাডাদের দেশে যে পেস বোলারদের সামলানো কঠিন, তা টের পেয়েছেন দেশের অনেক তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যান। বুঝেছেন যে, ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় গতি ও বাউন্সে ভরা উইকেটে বড় রান পাওয়াটা মোটেই সোজা নয়। এ বার সেই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চলেছেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রস্তুতি তিনি শুরু করে দিলেন বৃহস্পতিবার এনসিএ-তে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম যাচ্ছেন ভারত ‘এ’ দলের হয়ে দুটো চার দিনের ম্যাচ খেলতে। কিন্তু ওখানকার কন্ডিশনে পেসারদের সামলানোর অভিজ্ঞতা কোথায়? নিজের অভিজ্ঞতা সুদীপকে কিছুটা দিয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। আলুড়ে বাংলার প্রাক মরসুম শিবিরে। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে সুদীপ বলছিলেন, ‘‘লক্ষ্মণ ভাই অনেক কিছু শিখিয়েছেন। কী ভাবে ওখানকার কন্ডিশনে অ্যাডজাস্ট করব। কী ভাবে বড় ইনিংস খেলতে হবে।’’
যদিও দক্ষিণ আফ্রিকায় লক্ষ্মণের কোনও সেঞ্চুরি নেই। ডারবানে একটা ৯৬ ও পোর্ট এলিজাবেথে ৮৯ রান করেছিলেন। জোহানেসবার্গে একবার ৭৩ রান করেছিলেন। তবে লক্ষ্মণের টিপস খুব পছন্দ হয়েছে সুদীপের। বলেন, ‘‘উনি খুব ভাল আইডিয়া দিয়েছেন। যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে উপকার পাব।’’
আরও পড়ুন: হাতের লেখা বিশেষজ্ঞই জানিয়ে দেবেন সই আসলে কার?
বাকিটুকু পাবেন মঙ্গলবার ওখানে পৌঁছে রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে। রাহুল ‘এ’ দলের সঙ্গে ওখানেই আছেন ত্রিদেশীয় সিরিজে। তাঁর সঙ্গে দেখা করার তর যেন সইছে না ২৫ বছরের তরুণের। বললেন, ‘‘রাহুল স্যারের কাছে শেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। অনেক কিছু শিখতে পারব। দুই কিংবদন্তির পরামর্শ কাজে লাগবে নিশ্চয়ই।’’ গতবার রঞ্জি ট্রফিতে ১৩ ইনিংসে ৫৫৭ রান করেন তিনি। দুটো সেঞ্চুরি, তিনটে হাফ সেঞ্চুরি করেন।
এনসিএ-তে এ দিন ফিটনেস সেশনের পর শুক্রবার থেকে নেট সেশন হবে। আলুড়ে বাংলার প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে দু’টি ম্যাচে সুদীপ দু’ইনিংসে ১৮৭ করেছেন। একটা সেঞ্চুরি ও একটা হাফ সেঞ্চুরি। যাওয়ার আগে এই দুটো ইনিংস আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিল বলে জানান সুদীপ। আর ওখানে ভাল খেলার জন্য সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন নতুন ব্যাট। বলেন, ‘‘নতুন ব্যাট নিয়ে যাচ্ছি। একটা ম্যাচ অবশ্য খেলেছি ওটা দিয়ে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যলেঞ্জটা যে আরও কঠিন। তাই নতুন, ভাল ব্যাট নিয়ে যাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy