রঞ্জি ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচ খেলে বাংলার পয়েন্ট ছয়। —ফাইল চিত্র।
দুই দলের সামনেই মরণ-বাঁচন লড়াই। রঞ্জি ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচ খেলে বাংলার পয়েন্ট ছয়। তিন ম্যাচ খেলে পাঁচ পয়েন্ট তামিলনাড়ুর। কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকার জন্য দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে স্পিন-সহায়ক পিচের আভাস পেয়ে তাই হয়তো দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে নামতে পারেন মনোজ তিওয়ারিরা। ফেরানো হতে পারে বিশেষজ্ঞ উইকেটকিপার শ্রীবৎস গোস্বামীকেও।
গত ম্যাচে কেরলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিল বাংলা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল ছয় পয়েন্ট। শেষে কেরলই ছয় পয়েন্ট নিয়ে যায় বাংলা থেকে। এ বার তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে আর শুরু থেকেই ঝাঁপিয়ে না পড়ে ধাপে, ধাপে এগোতে চান মনোজ। তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করার পরে ছ’পয়েন্টের দিকে যেতে চান
বঙ্গ অধিনায়ক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেন্নাই থেকে ফোনে মনোজ বলেন, ‘‘ম্যাচ জেতার একটা পদ্ধতি আছে। আগে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে চাই। তার পরে ম্যাচ কোন দিকে এগোচ্ছে, তা বুঝে ছয় পয়েন্টের জন্য ঝাঁপাব।’’ বাংলার অধিনায়ক চান, তাঁর দলকে যেন দুই ইনিংস ব্যাটিং করতে না হয়। মনোজের ব্যাখ্যা, ‘‘প্রথম ইনিংসে বড় রান করতে হবে। যাতে পরের ইনিংসে আমাদের নামতেই না হয়। এটা তখনই সম্ভব, যখন ব্যাটসম্যানেরা বড় রান করবে। একশোর ইনিংসকে দু’শোয়ে পরিণত করতে পারবে। এই পিচে সেটাই প্রয়োজন।’’
পিচ দেখে অধিনায়কের ধারণা, তৃতীয় দিন থেকেই বল ঘুরতে শুরু করবে। চতুর্থ দিন ব্যাট করতে হলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। মনোজের কথায়, ‘‘পিচ দেখে মনে হল, প্রথম দু’দিন ব্যাটসম্যানেরা সুবিধা পাবে। বল বাউন্স করতে পারে। তৃতীয় দিন থেকে হয়তো পিচ ভাঙবে। বল হয়তো ঘুরবে। তাই প্রথমে ব্যাট করে নেওয়াই ভাল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দুই স্পিনার নিয়েই দল সাজাব। আমির গনি ও প্রদীপ্ত প্রামাণিকই আমাদের প্রথম পছন্দ। তবে শাহবাজ আহমেদের সম্ভাবনাও আছে। কারণ, ব্যাটিং করার পাশাপাশি ও ভাল বোলিংও করতে পারে। ফেরানো হতে পারে উইকেটকিপার শ্রীবৎসকে। কারণ, ঘূর্ণি পিচে বিশেষজ্ঞ কিপার প্রয়োজন।’’
কিন্তু ওপেনার হিসেবে অভিষেক রামনের সঙ্গে কে খেলবেন, তা ঠিক করা হবে সকালে পিচ দেখে। চেন্নাই উড়ে যাওয়ার আগে মনোজ বলেছিলেন, ‘‘ওপেন না করিয়ে তিন নম্বরে ফিরিয়ে আনা হতে পারে কৌশিককে।’’ সেক্ষেত্রে শ্রীবৎসকে দিয়ে ওপেন করানো হয় কি না, সেটাই দেখার। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত এই নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলা টিম ম্যানেজমেন্ট। বিপক্ষে অভিনব মুকুন্দ, বি ইন্দ্রজিৎ, বি অপরাজিতের মতো ক্রিকেটারেরা রয়েছেন। যাঁরা নিয়মিত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভাল পারফর্ম করেন। প্রথম শ্রেণির ১৩৪ ম্যাচে ৯৩০৯ রান করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মুকুন্দের। তাঁকে কোনও মতেই হাল্কা ভাবে নিতে চান না মনোজ। বলেন, ‘‘ও সত্যি ভাল ব্যাটসম্যান। ঘরের মাঠে আরও ভয়ঙ্কর। কিন্তু শুধু ওকে নিয়ে ভাবলেই তো আর ম্যাচ জেতা যাবে না। বাকিদের নিয়েও পরিকল্পনা করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy