৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিল বেঙ্গালুরু।
ভারতীয় ফুটবলে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করেই আই লিগ জিতে চমকে দিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফ সি। পরের তিন বছর তারা তৈরি করেছিল ইতিহাস। আই লিগ, ফেড কাপ এবং এ এফ সি কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথমবার খেলতে নেমেও ক্রমশ অশ্বমেধের ঘোড়া হয়ে উঠেছেন সুনীল ছেত্রীরা। শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত করার পর ফের খেতাব জেতার ইতিহাসের হাতছানির সামনে আলবের্তো রোকার টিম। ক্রমশই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে বেঙ্গালুরু। এ দিন এফ সি গোয়াকে জোড়া গোলে হারিয়ে আলবের্তো রোকার দল রয়ে গেল লিগ শীর্ষেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফ সি পুণে সিটির থেকে অনেকখানি এগিয়ে গেল ‘দ্য ব্লুজ’। ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট হল ৩৩। পুণের ১৪ ম্যাচ খেলে ২৫। গোয়া রয়ে গেল ছয় নম্বরেই। বেঙ্গালুরুর হয়ে দুই অর্ধে দুটি গোল করলেন দুই স্প্যানিশ—এডু গার্সিয়া ও ডিমোস মোরগাডো। দুটি গোলের ক্ষেত্রেই বার্সেলোনা ‘বি’ দলে খেলা মিডিও ডিমাসের পায়ের ছোঁয়া। একটি করালেন, অন্যটি নিজে করলেন। প্রথমার্ধে পয়ত্রিশ মিনিটে ডিমোসের কর্নার থেকেই হেডে গোল করেন এডু। আর খেলা শেষ হওয়ার আট মিনিট আগে বেঙ্গালুরু পাস খেলতে খেলতে গোয়া বক্সে ঢুকে পড়ে। সেই সুযোগে ডিমোস গোল করে যান। গোল করতে পারতেন সুনীল ছেত্রীও। তাঁর চেষ্টা অল্পের জন্য ব্যর্থ হয়।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে অবশ্য নিজের দুদার্ন্ত পারফরম্যান্স বজায় রাখলেন কিপার গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু। পরপর চারটি ম্যাচে অপরাজিত থাকলেন বেঙ্গালুরুর গোলকিপার। এ দিনও গোয়ার অন্তত দু’টি নিশ্চিত গোল বাঁচালেন এই পঞ্জাব তনয়। শুরুতেই তিনি বাঁচান ফেরান কোর-র শট। রোকা এ দিন দলে অবশ্য বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা মিকু-কে গ্যালারিতে রেখেছিলেন তিনি। উল্টে সুযোগ দেন থোংগোসিম হাউকিপকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy