গুয়ামের কাছে হারের পরেও ভারতীয় কোচ স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ভাইচুং ভুটিয়া। একই সঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতে সুনীল ছেত্রীর গোলের হাফসেঞ্চুরিতে উচ্ছ্বসিত তিনি বলছেন, ‘‘সুনীল আরও গোল করে এগিয়ে যাক। ভাবলে ভাল লাগছে, ভারতীয় দলের হয়ে সুনীলের এই প়ঞ্চাশটা গোলের অর্ধেক আমি টিমে থাকার সময়েই। এটা একটা পাওনা।’’
সুনীল নতুন রেকর্ড গড়লেও স্টিভনকে নিয়ে যখন সমালোচনার ঝড় বইছে তখন তাঁর পাশেই ভাইচুং। কোভারম্যান্স জমানায় এই গুয়ামকেই দু’বছর আগে ৪-০ হারিয়েছিল ভারত। স্টিভনকে দ্বিতীয় বারের জন্য কোচ করে আনায় ভাইচুংয়ের নেতৃত্বে ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির বড় ভুমিকা রয়েছে। তাই কোচকে আরও সময় দিতে চান তিনি। এ দিন কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘গুয়ামের বিরুদ্ধে দিনটা ভারতের ছিল না। প্রাক বিশ্বকাপ ম্যাচে জাপানও তো ড্র করেছে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে। তা ছাড়া স্টিভন সবে দায়িত্ব নিয়েছে। টিমে বেশির ভাগ নতুন ছেলে। জাতীয় শিবিরেও কোচ বেশি সময় পাননি। আশা করছি, আগামী দু’-এক বছরের মধ্যে এই দলটাই ভাল খেলবে।’’
এই মুহূর্তে স্কট ও’ডনেলের তত্ত্বাবধানে ‘ডি’ লাইসেন্স করছেন। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে কি তাঁকে জাতীয় কোচের পদে দেখা যেতে পারে? ভাইচুং স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে রসিকতা করে বলেন, ‘‘ডি লাইসেন্স করছি ছেলের জন্য। যাতে ওদের বাড়িতেই ফুটবলের পাঠটা ঠিকঠাক দিতে পারি।’’ পরে যদিও বলেন, ‘‘জাতীয় কোচ হতে কে না চায়। তবে কখন কী হবে কে জানে? সি লাইসেন্স করার পর থেমেও তো যেতে পারি! এই মুহূর্তে সময়ের বড় অভাব। তাই আগাম কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
এই মুহূর্তে আটলেটিকো দে কলকাতার সঙ্গে জড়িত ভাইচুং। তবে তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতার দলের সঙ্গে পরামর্শদাতা হিসেবে রয়েছি। আমার কাজ ভারতীয় ফুটবলার সম্পর্কে চিফ কোচ আন্তোনিও হাবাসকে তথ্য দেওয়া। ফুটবলার বাছার কাজটা উনি নিজেই করছেন।’’ আগামী দিনে আইএসএল এবং আই লিগ মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ভাইচুং বলেন, ‘‘মনে হয় না এতে কোনও সুবিধা হবে। কারণ আইএসএলে প্লেয়ারদের খেলতে দিয়ে ক্লাবগুলো আর্থিক লাভ করে।’’
জাতীয় দলের উৎকর্ষ বাড়াতে ভাইচুংয়ের দাওয়াই— রাজ্য লিগ থেকে প্রতিভা তুলে আনা। বিশেষ করে তরুণ প্রতিভা। আর রাজনীতি? ভাইচুংয়ের উত্তর, ‘‘জানি না, কখন জীবন কোন খাতে বইবে। লোকসভা ভোটের পর সময় পাইনি রাজনীতি নিয়ে ভাবার। তবে রাজনীতি ভাল লাগে। বাকিটা ভবিষ্যৎ বলবে। আর রাজনীতিতে টিকে থাকলে কেরিয়ার নয়, সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষেই নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy