Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National news

প্রোদুনোভা বদলে কর্মকার ভল্ট নাম চান বাইলস

১৯৯৯ সালে ভল্ট অফ ডেথ-র নামকরণ হয় প্রোদুনোভা। এ বার কি প্রোদুনোভার নয়া নাম হতে চলেছে কর্মকার ভল্ট! হবে কি না ভবিষ্যৎ বলবে। তবে রিও আসরে এমনই ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন যিনি, তিনি বিশ্বের এক নম্বর জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:০৩
Share: Save:

১৯৯৯ সালে ভল্ট অফ ডেথ-র নামকরণ হয় প্রোদুনোভা। এ বার কি প্রোদুনোভার নয়া নাম হতে চলেছে কর্মকার ভল্ট! হবে কি না ভবিষ্যৎ বলবে। তবে রিও আসরে এমনই ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন যিনি, তিনি বিশ্বের এক নম্বর জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস।

দৌড়ে এসে বিমে চাপ দিয়ে শূন্যে জোড়া সমারসল্ট দিয়ে চড়কিপাক দিতে দিতে নীচে পড়তে হয় এই ভল্টে। সামান্য ভুলচুক হয়েছে কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ১৯৯৯ সালে সেই চরম ঝুঁকির ডিগবাজি দেখিয়ে দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রাশিয়ার মেয়ে ইয়েলিনা প্রোদুনোভা। যাঁর নাম অনুসারেই এই ভল্টের নাম রাখা হয় প্রোদুনোভা। ২০১৬ সালেও রিও-র মঞ্চে একই ভাবে দুনিয়ার বুকে বিস্ময় জাগিয়েছে ত্রিপুরার মেয়ে দীপা। যা দেখে আপ্লুত বাইলস দীপাকে বলেই ফেলেন, এই ভল্টের নাম হওয়া উচিত কর্মকার ভল্ট।

কঠিন এই ভল্টের নাম শুনলে অনেক তাবড় জিমন্যাস্ট পিছিয়ে আসেন। সিমোন বাইলস নিজেও সেই দলে রেখেছেন নিজেকে। “আমার প্রাণের মায়া আছে”- প্রদুনোভা দেবেন কিনা জানতে চাইলে এমনটাই বলেছিলেন বাইলস। সেখানে যে ভাবে নির্বিকার চিত্তে দীপা এই ভল্ট দিয়েছেন তা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন বাইলস নিজেও। নিজে গিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন দীপার প্রোদুনোভার। আর তখনই বলেন, এটার নাম বদলে কর্মকার ভল্ট হোক।

আরও পড়ুন: নিজেদের সিদ্ধান্তে গৌরববোধ করছেন মোহনবাগান সচিব

খোদ বিশ্বের এক নম্বর জিমন্যাস্টের থেকে এমন সার্টিফিকেট পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি দীপা। ভারত থেকে অলিম্পিকের ফ্লোরে তিনিই প্রথম মহিলা জিমন্যাস্ট। আর প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট যিনি অলিম্পিকের ফাইনালে ওঠেন। অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া করা দীপা নিজেও সিমোন বাইলস সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত, ‘‘সিমোন অপ্রতিদ্বন্দ্বীয়। রিও মঞ্চেই আমাকে তিনি এ কথা বলেছিলেন। আমি ভীষণ খুশি। আমি নিজেই নিজেকে বলছি, দারুণ পরিশ্রম করতে হবে এর পর, যাতে সত্যিই এক দিন আমার নামেও কোনও ভল্টের নামকরণ হতে পারে।’’

১৯৯৯ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া আর কোনও জিমন্যাস্টই এই ভল্ট দেখানোর সাহস করেননি। অত্যন্ত কঠিন এবং বিপজ্জনক হওয়ায় একে ‘ভল্ট অফ ডেথ’-ও বলা হয়। ফওদা মাহমউড নামে এক জিমন্যাস্ট এই ভল্ট দিতে গিয়ে টাইমিং এবং ব্যালান্সের ভুলচুকে ল্যান্ডিংয়ের সময় ঘাড় গুঁজে পড়ে যান। যাতে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারত। এর পরে এই ভল্ট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এমনকী প্রতিযোগিতার মঞ্চে এই ভল্ট নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE