শ্রদ্ধা: কিংবদন্তি ধ্যানচাঁদের ছবিতে বীর বাহাদুরের ফুল। ছবি: সুমন বল্লভ
কিংবদন্তি ধ্যানচাঁদের জন্মদিনে অলিম্পিক্স সোনাজয়ী গোলরক্ষক বীর বাহাদুর ছেত্রীকে জীবনকৃতি সম্মান দিল রাজ্যের হকি সংস্থা। ১৯৮০ সালে মস্কো অলিম্পিক্সে হকিতে সোনাজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু এই মুহূর্তে ভারতীয় গোলরক্ষণ পি আর সৃজেশের পারফরম্যান্সে হতাশ বীর বাহাদুর। তাঁর মতে, অবিলম্বে সৃজেশকে সরিয়ে কৃষাণ পাঠককে সুযোগ দেওয়া হোক।
সৃজেশের মূল সমস্যা ফিটনেসের অভাব। ৩১ বছর বয়সি গোলরক্ষক বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল হজম করায় শেষ আট থেকে ছিটকে যেতে হয় ভারতকে। নতুন কোচ গ্রাহাম রিডের প্রশিক্ষণে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলবে ভারত। বীর বাহাদুর মনে করেন, অনায়াসে ভারত যোগ্যতা অর্জন করবে। কিন্তু আসল পরীক্ষা তার পরে। তাঁর মতে, গোলকিপার পরিবর্তন না হলে ভারতীয় দলের সফল হওয়া কঠিন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বীর বাহাদুর বলছিলেন, ‘‘সৃজেশ যে আর পারছে না, তা স্পষ্ট। ওর যথেষ্ট বয়সও হয়ে গিয়েছে। নির্বাচকেরা হয়তো বিষয়টি নিয়ে ভাবতেও শুরু করেছেন। আশা করা যায়, তরুণ গোলকিপার কৃষাণ পাঠককে সুযোগ দেওয়া হবে।’’
নতুন কোচ গ্রাহাম রিডের প্রশিক্ষণে ভারত যে অলিম্পিক্সে সোনা জিততে পারে, তাও মনে করেন বীর বাহাদুর। কিন্তু তার জন্য সব চেয়ে জরুরি মানসিক প্রস্তুতি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা অলিম্পিক্সে নামার সময় হারের কথা ভাবতামই না। সব সময় জেতার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নেমেছি। জিতেও ফিরেছি। এখনকার ভারতীয় দলকেও একই মনোভাব নিয়ে নামতে হবে।’’
হকির জাদুকরের জন্মদিনে জীবনকৃতি সম্মান পেয়ে আপ্লুত সোনাজয়ী অলিম্পিয়ান। বললেন, ‘‘কিংবদন্তির জন্মদিনে এই বিশেষ পুরস্কার পাওয়া সেরা প্রাপ্তি। বাংলা থেকে বরাবরই সম্মান পেয়ে এসেছি। এ বারও আমাকে ফিরিয়ে দেয়নি। আমি আপ্লুত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy