Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
সচিনের প্রভাব এখনও বিশ্বব্যাপী, একান্ত সাক্ষাৎকারে গ্লেন ম্যাকগ্রা

‘মানবিক বিরাটকে দেখে শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল’

সচিন তেন্ডুলকর বনাম বিরাট কোহালি, পিঙ্ক ডে টেস্ট— সিডনিতে মিডিয়া সেন্টারে বসে সব কিছু নিয়ে আনন্দবাজারকে দীর্ঘ, একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের অন্যতম সেরা পেস কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা। আজ সেই সাক্ষাৎকারের শেষ কিস্তি।আনন্দবাজারকে দীর্ঘ, একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের অন্যতম সেরা পেস কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা। আজ সেই সাক্ষাৎকারের শেষ কিস্তি।

সৌজন্য: মাঠের বাইরে মাটির মানুষ বিরাট কোহালির আন্তরিকতা এবং সহমর্মিতায় আপ্লুত প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ফাইল চিত্র

সৌজন্য: মাঠের বাইরে মাটির মানুষ বিরাট কোহালির আন্তরিকতা এবং সহমর্মিতায় আপ্লুত প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ফাইল চিত্র

সুমিত ঘোষ
সিডনি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৭
Share: Save:

প্র: যাঁরা এই স্কোয়াডে আছেন, তাঁদের তো লোকে দেখতেই পাচ্ছে। ভারতে আগামী দিনের পেস-প্রতিভা কারা? যাঁদের আপনি দেখেছেন?

ম্যাকগ্রা: অনেক পেস-প্রতিভাই উঠে আসছে ভারত থেকে। তাদের অনেককেই আমি দেখছি, তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আমি ভারতে পেস বোলিংয়ের জোয়ার দেখে খুবই প্রভাবিত। আমাদের ক্যাম্প হয়, যেখানে প্রত্যেকটা রাজ্য সংস্থা তাদের তরুণ প্রতিভাদের পাঠায়। সেখান থেকে অনেককে বাছা হয় এবং একটা কথা বলতে পারি যে, সেই ক্যাম্পে যারা আসে তারা যথেষ্ট উৎসাহিত হওয়ার মতো প্রতিভা। অঙ্কিত রাজপুত রয়েছে। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে খেলছে। ভাল বোলার। আমার মনে হয় না, আন্তর্জাতিক স্তর থেকে খুব দূরে রয়েছে অঙ্কিত। লম্বা আছে, শক্তিশালী। নিজের খেলা সম্পর্কে খুব স্পষ্ট ধারণা রয়েছে, যেটা থাকা খুবই জরুরি। সারা দিন ধরে দৌড়ে এসে বল করার ধকল নিতে পারবে। খুব ভাল নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। আমার মনে হয়, অঙ্কিত অবশ্যই ভবিষ্যতের এক তারকা বোলার। আবেশ খান আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছে। ভাল গতি আছে, মানসিকতা দারুণ। খলিল আহমেদ আছে। ভারতের হয়ে ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে খেলেছে। খলিলের মনোভাবটা আমার খুব ভাল লাগে। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেও ঘাবড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখায়নি। হাতে ভাল সুইংও আছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই তিন জন আমাকে সব চেয়ে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু এর বাইরেও সাধারণ ভাবে যদি জিজ্ঞেস করেন, এটাই বলব যে, ভারতে সব মিলিয়ে পেস বোলিংয়ের প্রতিভার জোয়ার এসেছে। আমি নিজে চোখে সেটা দেখছি ভারতে কাজ করতে গিয়ে।

প্র: এই তরুণদের প্রতি গ্লেন ম্যাকগ্রার পরামর্শ কী থাকে?

ম্যাকগ্রা: আমি তরুণদের সব সময় বলি, ফাস্ট বোলিং মানে তিনটে জিনিস মাথায় রাখতে হবে। এক) তোমার হাতে বল রয়েছে। সেটার অর্থ আমার কাছে স্কিল। তোমাকে বল হাতে শিল্প সৃষ্টি করতে হবে। দুই) ফিট এবং শক্তিশালী থাকতে হবে। তিন) সঠিক মনোভাব নিয়ে এগোতে হবে। তরুণ প্রতিভাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে, এই তিনটে জিনিস থাকলে ভাল বোলার থেকে গ্রেট বোলার হতে পারবে।

প্র: আর কী লাগবে সঙ্গে?

ম্যাকগ্রা: এর সঙ্গে আরও অনেক কিছু আছে। শৃঙ্খলা থাকতে হবে। পরিকল্পনা করতে জানতে হবে। কোন ব্যাটসম্যানকে কী ভাবে আউট করব, তার একটা প্ল্যানিং দরকার। কিন্তু মূল মন্ত্র ওই তিনটে জিনিস। আর একটা ব্যাপার মনে করিয়ে দিই ওদের— পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। অনেকে ভাগ্যের কথা বলে। আমি বিশ্বাস করি, যত পরিশ্রম করবে তত ভাগ্যবান হবে তুমি। ক্রিকেটে যত কিছু ভূমিকা আছে, তার মধ্যে ফাস্ট বোলার হওয়া সব চেয়ে কঠিন। তোমাকে তাই অন্য যে কারও চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে, নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে যে, আমি পারব।

নজরে: (বাঁ দিক থেকে) খলিল আহমেদ, আবেশ খান, অঙ্কিত রাজপুত। ফাইল চিত্র

প্র: ফাস্ট বোলারদের মেন্টরের ভূমিকা কতটা উপভোগ করছেন? অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ হিসেবে কি আপনাকে দেখা যেতে পারে?

ম্যাকগ্রা: জানি না, ভবিষ্যতের রাস্তায় আমার জন্য কী লেখা রয়েছে। যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, কোচিংয়ে আসতেই চাইনি। কী ভাবে বোলিং করা শেখাতে হয়, সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। সিদ্ধান্তটা পাল্টাতে হয় ডেনিস লিলির ফোনে। উনি আমাকে ফোন করে বললেন, ‘‘আমি চাই চেন্নাইয়ে এমআরএফ ফাউন্ডেশনে আমার জায়গাটা এ বার তুমি নাও।’’ ভিতরে-ভিতরে আমি খুব একটা ইচ্ছুক ছিলাম না। লিলি আমাকে বলেন, গিয়ে এক বার দেখে এসো কেমন জায়গাটা। তার পরে না হয় পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেবে। চেন্নাইয়ে গিয়ে সব কিছু দেখার পরে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। এত ভাল পরিকাঠামো আর টেকনিক্যালি পোক্ত সব কোচ আমি কোথাও দেখিনি। ডেনিস লিলির সঙ্গে যাঁরা কাজ করছিলেন ওখানে, তাঁরাও বেশ ভাল। প্রত্যেকটা জায়গা আমি ঘুরে ঘুরে দেখি। কী ভাবে ছেলেরা প্র্যাক্টিস করছে, জিমন্যাসিয়াম কী রকম, সহকারী কোচেরা কারা। সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমার কাছে ডেনিস লিলি এক নম্বর। তাই উনি নিজে আমাকে বলছেন দেখে এই দায়িত্বটা পালন করতে রাজি হয়ে যাই। কিন্তু এটাও বলব যে, চেন্নাইয়ে গিয়ে অ্যাকাডেমির গঠন দেখে আমি খুব প্রভাবিত হয়েছিলাম। সেটাও মেন্টরের দায়িত্ব পালন করতে রাজি হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ। তার পর কোচিং করাতে গিয়ে বেশ ভাল লাগতে শুরু করল। মনে হতে থাকল, এটাই তো সব চেয়ে ভাল। যে খেলাটা আমাকে এত কিছু দিয়েছে, তার জন্য কিছু করতে পারছি। ফাস্ট বোলিং নিয়ে যে জ্ঞানটা আমি অর্জন করেছি, সেটা আমার পরবর্তী প্রজন্মের হাতে তুলে দিয়ে যেতে পারছি। এর মধ্যে একটা অন্য রকম আনন্দ রয়েছে।

প্র: এখন আপনার লক্ষ্য?

ম্যাকগ্রা: যে দায়িত্ব নিয়েছি, সেটার জন্য সেরাটা দিয়ে যাওয়া। এবং ভারতের এই পেস বোলিং বিপ্লবের সাক্ষী থেকে আরও কিছু ভাল বোলার উঠে আসার ব্যাপারে সাহায্য করে যাওয়া।

প্র: গ্লেন ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন নিয়ে আপনার লক্ষ্য কী? সিডনিতে খুব বড় ইভেন্ট এখন পিঙ্ক ডে টেস্ট ম্যাচ।

ম্যাকগ্রা: আমি প্রত্যেকের কাছ থেকে এ রকম সাড়া পেয়ে অভিভূত। এটা আমাদের একাদশতম পিঙ্ক টেস্ট ম্যাচ। প্রত্যেক বছরে যেন আরও বড় হচ্ছে। পুরো গ্যালারি সে দিন পিঙ্ক ছিল। স্তন ক্যানসার সম্পর্কে আমরা সচেতনতা বাড়াতে চাইছি। মানুষকে বোঝাতে চাইছি যে, দেরি না করে যদি ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায়, তা হলে শুরুতেই ধরা পড়তে পারে স্তন ক্যানসার। সে ক্ষেত্রে সেরে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আমি অনেক ক্ষেত্রে শুনেছি যে, টেস্ট ম্যাচে আমাদের এই উদ্যোগ দেখে কেউ কেউ ডাক্তারের কাছে গিয়েছে পরীক্ষা করার জন্য। তারা দেখেছে, প্রাথমিক স্তরের স্তন ক্যানসারে তারা আক্রান্ত। কিন্তু যে-হেতু প্রাথমিক স্তরেই ধরা পড়েছে, তারা বেঁচে গিয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে দু’টো দলই পিঙ্ক ডে টেস্টকে সমর্থন করছে। বিদেশি দল খেলতে এলেও দারুণ ভাবে সমর্থন করে। এ বারে ভারতীয় দল থেকে খুব ভাল সাড়া পেয়েছি।

বিরাটে মুগ্ধ ম্যাকগ্রা।

প্র: পিঙ্ক ডে টেস্টের সাফল্য দেখে আপনি নিশ্চয়ই খুশি?

ম্যাকগ্রা: আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে এত বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। ক্রিকেট ছাড়ার পরে এখন যদি সমাজের পাশে দাঁড়াতে পারি, ভাল লাগবে। পিঙ্ক ডে টেস্ট তাই আমার কাছে একটা বড় স্বপ্নের মতো। নিজে যখন ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে উঠছিলাম, সমাজের কত মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, কত মানুষ আমাকে সাহায্য করেছেন। তাঁদের সাহায্য, সমর্থন না পেলে যাত্রাটা সম্ভবই হত না। সিডনিতে পিঙ্ক ডে টেস্টের সাফল্যের জন্য আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহালির কাছেও। যে ভাবে ও গোলাপি গ্লাভস, প্যাড পরে নামল, কখনও ভুলব না। ব্যাটেও স্পনসরের লোগো এবং গ্রিপও গোলাপি করে দিয়েছিল। ব্যাটসম্যান বিরাটের প্রতি অনেক আগে থেকেই আমার খুব সম্মান ছিল। কিন্তু মানবিক বিরাটকে দেখেও আমি মুগ্ধ। যে ভাবে ও পিঙ্ক টেস্টকে সমর্থন করেছে, তা দেখে শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গিয়েছে আমার। ওর মহাতারকা অবস্থানের তুলনায় অনেক মাটির মানুষ বিরাট। ভারতে নিশ্চয়ই সব সময় ওকে নিয়ে আলোচনা চলছে। সারাক্ষণ ওর কাটাছেঁড়া চলছে। নিজের দেশে সব চেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রও সম্ভবত। সে সব সামলে মাটির মানুষ থাকা সহজ নয়। মানুষকে শ্রদ্ধা করতে জানে, ভাল কাজে সমর্থন করতে এগিয়ে আসে। ভারতীয় সমর্থকদের কথাও বলতে চাই। সে দিন ওঁরাও সকলে গোলাপি পোশাক পরে দিনটাকে সমর্থন করেছিলেন। ‘স্বামী আর্মি’, ‘ভারত আর্মি’, সকলে। শুধু অস্ট্রেলিয়ায় আবদ্ধ না থেকে সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। সেটা দেখেই সব চেয়ে ভাল লাগছিল। যদি মানুষের জীবনযাত্রায় অথবা ক্যানসার আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কোথাও একটা পার্থক্য তৈরি করতে পারি, তা হলেই আমাদের ভাল লাগবে। আর আমি মনে করি, সেটাই খেলাধুলোর সব চেয়ে উজ্জ্বল দিক। খেলার মাঠে বাউন্ডারি থাকে। কিন্তু আসলে খেলার মাধ্যমেই সমস্ত বাউন্ডারি অতিক্রম করা যায়। খেলাধুলো সীমানা ভুলিয়ে মানুষকে কাছে আনে। কোথা থেকে তুমি এসেছ, আমি এসেছি, তোমার ধর্ম কী, আমার ধর্ম কী, সে সব ভেদাভেদকে প্রশ্রয় না দিয়ে আমাদের সকলকে এক ছাতার তলায় এনে দেয়। পিঙ্ক ডে-তে সেটা আবার দেখে আমি খুব তৃপ্তি পেয়েছি।

প্র: গ্লেন ম্যাকগ্রা বনাম সচিন তেন্ডুলকর ক্রিকেটের মহাকাব্যিক দ্বৈরথ হিসেবে বিখ্যাত। ব্যাটসম্যান বিরাট কোহালিকে আপনি কোথায় স্থান দেবেন? বিরাটকে বল করতে হলে কী হত আপনার অস্ত্র?

ম্যাকগ্রা: সর্বকালের সেরাদের মধ্যে জায়গা করার পথে এগোচ্ছে বিরাট, কোনও সন্দেহ নেই। ও ভারত থেকে পরের সচিন হয়ে উঠতে পারবে কি না, সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আমার বরাবরই মনে হয়েছে, সচিন শুধু ভারতে বলে নয়, সারা বিশ্বেই ব্যাটিংকে খুব উচ্চ একটা শিখরে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে। এত কিছু সেই শিখরে আর কারও পক্ষে সম্ভব কি না, সেটা অপেক্ষা করে দেখতে হবে। শুধু মাত্র কত রান ও করেছে, সেটা দিয়ে বিচার করলেই হবে না। পৃথিবীর সর্বত্র সচিনের প্রভাব এবং আকর্ষণটাও মাথায় রাখতে হবে। অসাধারণ এক ক্রিকেটার, অসাধারণ মানুষ। কিন্তু বিরাট যে ভাবে এগোচ্ছে, সেটাও মুগ্ধ করে দেওয়ার মতো। আমার সব চেয়ে যেটা ভাল লাগে বিরাটের ব্যাটিংয়ে, তা হচ্ছে, ও যদি একটা খারাপ বল পায়, সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দেবে। সেটা বড় ব্যাটসম্যানের নমুনা। ভাল ব্যাটসম্যানরা কখনও খারাপ বল থেকে রান করবে, কখনও করবে না। গ্রেট ব্যাটসম্যানরা সব সময় খারাপ বল থেকে রান করবে। এবং মাঠের মধ্যে ওর মনোভাব। আগ্রাসী, মাঠের মধ্যে আবেগ দেখাতে পিছপা হয় না। খেলার মধ্যে যত ক্ষণ থাকবে, প্রতিপক্ষকে ছেড়ে কথা বলবে না। সেই ছেলেটাই আবার মাঠের বাইরে এলে সম্পূর্ণ অন্য রকম। মানুষের সঙ্গে দারুণ মিশতে পারে, শ্রদ্ধা করতে জানে এবং মাটিতে পা রেখে চলা এক যুবক। দু’টো দিক যে ভাবে সামলাচ্ছে বিরাট, তা ‘গ্রেট’ হয়ে ওঠারই লক্ষণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE