বিদায়: লাল-হলুদ জার্সি গায়ে শেষ অনুশীলনে জনি আকোস্তা। নিজস্ব চিত্র
বাংলা নববর্ষের দিন ইস্টবেঙ্গল মাঠে পুরোহিতের সঙ্গে বারপুজো করেছিলেন ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকা। কলকাতা ময়দানের রীতি অনুযায়ী নতুন অধিনায়ককেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র তিন দিনের মধ্য ছবিটা বদলে গেল লাল-হলুদ শিবিরে। কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিলেন বোরখা গোমেস পেরেসকে!
বুধবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে মরসুমের শেষ অনুশীলনে বিসর্জনের আবহ। ম্যাচ প্র্যাক্টিসের পরে খাইমে সান্তোস কোলাদো, লালরাম চুলোভারা জার্সি উপহার দিলেন অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের, ছবিও তুললেন। কিন্তু জনি আকোস্তা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসার সময় আবহ আরও ভারী হয়ে উঠল। এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের স্তম্ভ ছিলেন কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার। আগামী মরসুমের জন্য কোচ যে ফুটবলারদের তালিকা জমা দিয়েছেন, তাতে আশ্চর্যজনক ভাবে তিনি নেই। লাল-হলুদ সমর্থকেরা যা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না। এ দিন তাই আকোস্তাই ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রে।
বিদায়বেলায় ভক্তদের উপহার দেওয়ার জন্যই বাড়তি জার্সি নিয়ে এসেছিলেন আকোস্তা। জার্সি না পেয়ে যাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের ডেকে নিলেন নিজস্বী তোলার জন্য। ক্লান্তিহীন ভাবে অটোগ্রাফ দিলেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আকোস্তো লিখলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলকে ধন্যবাদ। আমি ভাগ্যবান বলেই এই ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। যে সম্মান ও ভালবাসা পেয়েছি এখানে, তাতে অভিভূত। সব ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন সময় হয়ছে বিদায় জানানোর। সমর্থকদের কাছে কৃতজ্ঞ। ওরা সব সময় আমার হৃদয়ে থাকবে।’’
আকোস্তোর বিদায়ে সমর্থকেরা ভেঙে পড়লেও নতুন অধিনায়ক বোরখা নির্লিপ্ত। বললেন, ‘‘এটাই ফুটবল। কারা থাকবে, কাদের ছেড়ে দেওয়া হবে তা সম্পূর্ণ ক্লাবের সিদ্ধান্ত।’’ ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হিসেবে লক্ষ্য কী? বোরখা বলছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ভারতের অন্যতম সেরা ও ঐতিহ্যশালী ক্লাব। তাই অধিনায়ক হতে পেরে আমি গর্বিত। আমার প্রধান লক্ষ্য দলগত সংহতি বজায় রাখা।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘গত বার মাত্র ২০ দিন প্রাক-মরসুম প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছিলাম। এ বার অন্তত ছয় সপ্তাহ নিতে চাই।’’ মরসুমের শেষ অনুশীলনের পরেই লালরিনডিকা রালতের সঙ্গে আরও দু’বছরের চুক্তি সেরে ফেলল ইস্টবেঙ্গল।
জবি জাস্টিনের সই নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক মেটাতে বুধবার ইস্টবেঙ্গলের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে কথা বললেন আইএএফএ সচিব। বৈঠকের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে সব জানাব। যদি ওরা আইএফএকে জবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেয়, তা হলে বিষয়টা প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটিতে পাঠাব। সেখানে সবার বক্তব্য শোনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy