বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৩ • বায়ার্ন মিউনিখ ২
বুন্দেশলিগায় শীর্ষে থাকা দল বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড দু’বার পিছিয়ে পড়েও হারিয়ে দিল বায়ার্ন মিউনিখকে।
বায়ার্নকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেওনডস্কি খেলার ২৬ মিনিটে ছ’গজের বক্স থেকে হেডে গোল করে। ৪৯ মিনিটে (প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে) পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন ডর্টমুন্ডের মার্কো রয়েস। তাঁকেই পেনাল্টি বক্সে পা টেনে ফেলে দিয়েছিলেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার।
দ্বিতীয়ার্ধের ছ’মিনিটে আবার গোল করে বায়ার্নকে ২-১ এগিয়ে দেন লেওনডস্কিই। এ বারও হেড থেকে গোল। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের এই ম্যাচে দেখতে দেখতে গোল শোধ করে দেন সেই রয়েস। ৬৭ মিনিটে। ৬ মিনিট পরেই পাকো আলকাসের ৩-২ করে দেন। ৯৪ মিনিটে আবার ডর্টমুন্ডের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন লেওনডস্কি। কিন্তু অফসাইডের পতাকা তুলে সেই গোল বাতিল করে দেন সহকারী রেফারি।
বায়ার্ন শেষ ছ’মরসুম বুন্দেশলিগায় চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এ বার ছবিটা অন্য রকম। দুরন্ত খেলছে ডর্টমুন্ড। লেওনডস্কিদের থেকে ৭ পয়েন্ট এগিয়ে তারাই এখন লিগ টেবলের শীর্ষে। দু’দলই খেলেছে ১১টি করে ম্যাচ। ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ২৭। দু’নম্বরেও নেই বায়ার্ন। ২০ পয়েন্ট পেয়ে তারা তিন নম্বরে। ২৩ পয়েন্ট পেয়ে টেবলে ডর্টমুন্ডের পরেই রয়েছে মনচেনগ্লাডবাখ।
জোড়া গোল করে রয়েস নজর কাড়লেও বুন্দেশলিগায় এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে (ডের ক্লাসিকার) নজর কাড়লেন আঠারো বছরের ইংরেজ প্রতিভা জ্যাডন স্যাঞ্চো। তাঁর গতির সামনে বায়ার্ন ডিফেন্স দিশেহারা হয়ে পড়ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। যার পরিণতি ২৪ মিনিটের মধ্যে ডর্টমুন্ডের তিনটি গোল। মজা হচ্ছে, গত মরসুমে এই দু’দলের শেষ সাক্ষাতে (মার্চ মাসে) বায়ার্ন ৬-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ডর্টমুন্ডকে। এ বার যা পরিস্থিতি তাতে ডর্টমুন্ডই বুন্দেশলিগা জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত তারা শেষবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ২০১২ সালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy