Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শামি নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু

ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী কেরলের বিরুদ্ধে ইনিংস প্রতি ১৫ ওভারের বেশি বল করতে পারবেন না শামি। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতীয় পেসারের মোট ৩০ ওভারই পাচ্ছে বাংলা।

পরামর্শ: সামনেই রঞ্জি ট্রফির তৃতীয় ম্যাচ। প্রতিপক্ষ কেরল। তার আগে শনিবার ইডেনে বাংলা ক্রিকেট দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনের শেষে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের বিশেষ ক্লাস নিলেন দলের মেন্টর অরুণ লাল। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

পরামর্শ: সামনেই রঞ্জি ট্রফির তৃতীয় ম্যাচ। প্রতিপক্ষ কেরল। তার আগে শনিবার ইডেনে বাংলা ক্রিকেট দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনের শেষে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের বিশেষ ক্লাস নিলেন দলের মেন্টর অরুণ লাল। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৮
Share: Save:

বাংলা-কেরল রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের তিন দিন আগে থেকেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন দুই দলের ক্রিকেটারেরা। আর দুই শিবিরের মধ্যেই আলোচনার মূল বিষয় একজনই। তিনি মহম্মদ শামি। শনিবার বাংলার ঐচ্ছিক অনুশীলনে শামি না এলেও তাঁকে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে কেরল শিবির। অন্য দিকে বাংলার শিবিরে স্বস্তির হাওয়া।

ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী কেরলের বিরুদ্ধে ইনিংস প্রতি ১৫ ওভারের বেশি বল করতে পারবেন না শামি। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতীয় পেসারের মোট ৩০ ওভারই পাচ্ছে বাংলা। কোচ সাইরাজ বাহুতুলের বিশ্বাস, এই ৩০ ওভারের মধ্যেই ম্যাচের উপর প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রয়েছে শামির।

শনিবার বাংলার অনুশীলন শেষে বাহুতুলে বলেন, ‘‘শামি থাকা মানে পেস বিভাগ আরও শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠা। ওর উপস্থিতি দলের আত্মবিশ্বাসও অনেকটা বাড়িয়ে তুলবে।’’ কিন্তু ইনিংস প্রতি ১৫ ওভার বল করতে পারবেন তিনি। তার মধ্যে যদি উইকেট তুলতে না পারেন তা হলে একজন বোলার কমে যাবে বাংলার হাত থেকে। বাহুতুলে অবশ্য নেতিবাচক দিক নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর মত, ঝুঁকি না নিলে কোনও কিছুতেই এগোনো যায় না। বলেন, ‘‘ভারতীয় টিম ম্যনেজমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ ওভারের থেকে দু-তিন ওভার বেশি বল করালে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে আমার বিশ্বাস এই ১৫ ওভারের মধ্যেই ও যা করার করে দেবে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘যে কোনও কাজ করতে গেলেই ঝুঁকি নিতে হয়। আর এটা তো রঞ্জি ট্রফি। এ রকম একটা প্রতিযোগিতা জিততে গেলেও ঝুঁকি নেওয়া প্রয়োজন।’’

শামিকে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে কেরল শিবিরও। কোচ ডাভ হোয়াটমোর থেকে উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসন, প্রত্যেকেই শামিকে নিয়ে চিন্তিত। হোয়াটমোর বলেন, ‘‘শামি আসায় বাংলা আরও ভাল দল হয়ে উঠবে। তার উপর সবুজ পিচ হলে তো কথাই নেই। কিন্তু আমাদের দলেও ভাল পেসার রয়েছে।’’ সঞ্জু বলছেন, ‘‘প্রতিপক্ষে শামির মতো বোলার থাকলে একটা বাড়তি চাপ তো থাকেই। দক্ষতা আছে বলেই ভারতীয় দলের হয়ে ও নিয়মিত খেলছে। কিন্তু আমাদের দলেও ওকে খেলার মতো ব্যাটসম্যান রয়েছে।’’

মেন্টর হিসেবে অরুণ লাল আসার পর থেকে বাংলার শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে ফিটনেস বিপ্লব। কেরলের বিরুদ্ধে ম্যাচ মঙ্গলবার। তার তিন দিন আগে শনিবার থেকেই সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, আমির গনি, অভিষেক রামনদের ফিটনেস বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হওয়ার দিনই মেন্টর অরুণ লাল জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানো তাঁর প্রথম লক্ষ্যে হতে যাচ্ছে। তাঁর কথায় ভারতীয় দলের মতো বাংলাতেও চালু করা হবে ইয়ো ইয়ো টেস্ট। তবে টানা ম্যাচ থাকায় কবে ইয়ো ইয়ো টেস্ট করানো সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও অনেকেরই মনে হচ্ছে, বাংলার ক্রিকেটের স্বার্থে অরুণের সিদ্ধান্ত একদম ঠিক।

বরাবর বাংলার খেলোয়াড়দের ব্যাপারে বদনাম আছে যে, তাঁদের ফিটনেস স্তর খুব নিম্নমানের। এখনকার বাংলা দলেও মনোজ তিওয়ারির মতো কয়েক জনকে বাদ দিলে আন্তর্জাতিক মানের ফিটনেস খুব কম ক্রিকেটারেরই আছে। এখনকার ফিটনেস সচেতন যুগে মরসুমের শুরুতেই দুর্দান্ত শারীরিক সক্ষমতা তৈরি করে নেন সব দলের খেলোয়াড়রা। কিন্তু বাংলায় সে সবের প্রচলন হয়নি। মরসুম শুরুর আগে আলাদা করে ফিটনেস পরীক্ষার চলও দেখা যায় না। ক্রিকেটার হিসেবে বাংলায় এসে অরুণ প্রথম এনেছিলেন লড়াকু মানসিকতা এবং ফিটনেস। মেন্টর হিসেবেও তাঁর সব চেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে, ফিট এবং শক্তিশালী বাংলা দল গঠন করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE