সেলিব্রেশনে অবশ্য থাকলেন অধিনায়ক। ছবি: রয়টার্স
২০০ মিনিটের গোল খরা। নিষ্প্রভ ওয়ান্ডারকিড। তরুণ তারকারা অদৃশ্য। অলিম্পিক্স শুরু থেকেই ব্রাজিল ফুটবল হয়ে উঠেছিল ব্যর্থতা আর গোল খরার প্রতীক। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরের রিও দেখল সেই বিধ্বংসী ব্রাজিলের পুনর্জন্ম। আক্রমণে ভয়ঙ্কর। ফ্লুইড ফুটবল। নিখুঁত সমস্ত মুভে গোল করা। ডেনমার্ককে ৪-০ উড়িয়ে যে ব্রাজিল টিকিয়ে রাখল সোনা জয়ের স্বপ্ন।
প্রথম দুটো ম্যাচে ঝু়ড়ি ঝুড়ি সুযোগ নষ্ট করলেও এ দিন অনেক বেশি ধারালো ব্রাজিলকে দেখা গেল। যারা গোলের সামনে ছিল অনেক বেশি নৃশংস। গাবিগোল প্রমাণ করলেন কেন তাঁকে সই করার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলো। জোড়া গোল করলেন। দুরন্ত পারফরম্যান্সও উপহার দিলেন। গ্যাব্রিয়েল জেসাস ও লুয়ানও গোলদাতার তালিকায় ছিলেন।
গত দু’ম্যাচে ব্রাজিলের খারাপ পারফরম্যান্সের সমস্ত দায় নিতে হয়েছিল অধিনায়ক নেইমারকে। ব্রাজিল ভক্ত থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ, সবার মতে নেইমারের খারাপ ফর্মই প্রভাব ফেলছে গোটা দলের উপর। কিন্তু ব্রাজিলের ওয়ান্ডারকিড ডেনমার্কের বিরুদ্ধে সে সব সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে ‘ক্যাপ্টেন্স গেম’ খেলে গেলেন। গোল না করলেও ম্যাচের গতি নিয়ন্ত্রণ করলেন। স্কিলের প্রদর্শনী দেখালেন। গোলও সাজিয়ে দিলেন। সব মিলিয়ে স্মরণীয় একটা পারফরম্যান্স।
কোয়ার্টারে উঠে জয়ের নায়ক গাবিগোল বলছেন, ‘‘খুব শান্তি লাগছে। গোল না করতে পারার জন্য চাপে ছিলাম। কিন্তু আমরা দারুণ খেলেছি আর তিন পয়েন্ট পেয়েছি।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘এ বার কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে ভাবতে হবে। আজকের পারফরম্যান্স আমাদের আরও আত্মবিশ্বাস দেবে।’’ কোয়ার্টারে ব্রাজিলের সামনে অপেক্ষা করছে কলম্বিয়া।
ব্রাজিলের মতো জার্মানিও জয় পেল। ফিজিকে ১০-০ উড়িয়ে শেষ আটে উঠল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যাদের সামনে পর্তুগাল। অন্য ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ০-১ হেরে ছিটকে গেল গত বারের সোনা জয়ী দল মেক্সিকো। এল ত্রি-র মতো আর্জেন্তিনারও অলিম্পিক্সে অভিযান শেষ হল। হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে কোয়ার্টারে উঠতে পারল না লা অ্যালবিসেলেস্তেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy