প্রত্যয়ী: মালয়েশিয়ায় কোর্টে ফিরছেন সাইনা। ফাইল চিত্র
গত তিনটি অলিম্পিক্সে তিনি ভারতের জার্সিতে কোর্টে নেমেছেন। ২০১২ অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জও জিতেছেন। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন টোকিয়ো অলিম্পিক্সের। তবে গত তিন বারের চেয়ে ২০২০ অলিম্পিক্সে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে থাকবেন বলে মনে করছেন সাইনা নেহওয়াল।
‘‘২০২০ অলিম্পিক্সে খুব কঠিন লড়াই হবে গত তিন বারের চেয়ে। চিনা খেলোয়াড়েরা দারুণ ছন্দে রয়েছে। চিনা ছাড়াও আরও অনেক দেশের খেলোয়াড়েরাই খুব ভাল ছন্দ দেখাচ্ছে। তাই চ্যালেঞ্জটা খুব কঠিন,’’ বলেন সাইনা। চোটের ধাক্কায় যিনি নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ইন্ডিয়া ওপেনে খেলেননি। তবে ২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া মালয়েশিয়া ওপেনে ফের নামছেন সাইনা।
অবশ্য এই মুহূর্তে তিনি যে অলিম্পিক্স নিয়ে ভাবছেন না সেটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর। ‘‘অলিম্পিক্স বা কী ভাবে অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করব, এ সব নিয়ে ভাবছি না। অন্য প্রতিযোগিতাগুলোয় ভাল ফল, নিজের খেলা আরও উন্নত করা এবং নিজেকে চোটমুক্ত রাখা নিয়েই বেশি ফোকাস করছি,’’ বলেছেন সাইনা।
ভারত টোকিয়ো অলিম্পিক্সে মেয়েদের সিঙ্গলস বিভাগে দু’জন খেলোয়াড়কে পাঠাতে পারে। তবে যোগ্যতা পেতে গেলে তাদের দু’জনকে যোগ্যতা অর্জনের সময়সীমা অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২০-র পরে প্রকাশিত র্যাঙ্কিং তালিকায় প্রথম ১৬ জনের মধ্যে থাকতে হবে।
সাইনার গুরু এবং ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দ আবার অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের এই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে এই পদ্ধতিতে খেলোয়াড়দের উপরে অনেক বেশি চাপ পড়ে। ‘‘এক বছর ধরে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন চলাটা ঠিক নয়। এই ব্যাপারটা দেখা দরকার,’’ বলেন গোপীচন্দ। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অল ইল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান বা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো প্রতিযোগিতা জিতলে সরাসরি যোগ্যতা পাওয়া যাবে এমন একটা ব্যবস্থা থাকা উচিত। অন্তত পাঁচ-ছটা কোটা থাকা উচিত এ রকম। এক বছর ধরে চলা যোগ্যতা অর্জন পর্ব ঠিক নয়। এতে প্রবল হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে সফর করতে হয় প্রতিযোগিতায় খেলতে। প্রচুর চাপ পড়ে খেলোয়াড়দের উপরে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy