ফাইল চিত্র।
কয়েক মাস আগে যে নিয়মের কারণে বিশ্বকাপ উঠেছিল ইংল্যান্ডের হাতে, সেই নিয়ম বাতিল করে দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। অর্থাৎ, সুপার ওভার টাই হওয়ার পরে কোন দল বেশি বাউন্ডারি মেরেছে, তার নিরিখে আর চ্যাম্পিয়ন বা জয়ী বাছা হবে না।
সোমবার দুবাইয়ে বোর্ড মিটিংয়ের পরে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এ বার থেকে আইসিসি পরিচালিত কোনও প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে ম্যাচ টাই হলে বাউন্ডারি মারার নিরিখে জয়ী বাছা হবে না। সুপার ওভার টাই হলে আবার একটা সুপার ওভারই হবে। এই ভাবে টাইব্রেক চলতে থাকবে যত ক্ষণ না পর্যন্ত একটা দল বেশি রান করে ম্যাচ জিতে নেয়।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড বনাম নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচ টাই হওয়ার পরে সুপার ওভার হয় দু’দলের মধ্যে। যে সুপার ওভারও টাই হয়ে যায়। এর পরে ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার বিচারে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ক্রিকেট ভক্তদের তীব্র রোষের মুখে পড়ে আইসিসি। প্রশ্ন উঠে যায়, ম্যাচে বাউন্ডারি মারার কারণে কী ভাবে সুপার ওভারে জয়ী ঘোষণা করা যায়? বিতর্কের মুখে সেই নিয়মে এ বার বদল আনল আইসিসি।
এ দিন এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ মেনে সুপার ওভার রেখে দেওয়া হচ্ছে টাইব্রেকারের মাধ্যম হিসেবে। কিন্তু একটা বদল করা হচ্ছে। আইসিসি আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে যদি সুপার ওভারও টাই হয়ে যায়, তা হলে ম্যাচও টাই হবে। আর সেমিফাইনাল বা ফাইনালে সুপার ওভার টাই হলে আবার একটা সুপার ওভার হবে। এই ভাবে চলতে থাকবে, যত ক্ষণ না পর্যন্ত কোনও একটা দল সুপার ওভারে বেশি রান করে ম্যাচ জিতে নেয়।’’
একই সঙ্গে আইসিসি ঠিক করেছে, ২০২৩ সাল থেকে প্রতি বছর একটি ছেলেদের এবং একটি মেয়েদের বিশ্ব পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেছেন, ‘‘আমরা নানা বিকল্প খতিয়ে দেখেছি। আমরা মনে করি, এই ভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারলে ক্রীড়াসূচিতে ধারাবাহিকতা আনা যাবে। ভবিষ্যতেও ক্রিকেট এর ফলে উপকৃত হবে।’’
এ দিকে, জিম্বাবোয়ে এবং নেপালকে আবার সদস্য দেশ হিসেবে ফিরিয়ে নিল আইসিসি। ফলে আগামী বছর আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবে জিম্বাবোয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy