চমক: বারান্দায় ৪২.২ কিমি দৌড়নো কলিন ও তাঁর স্ত্রী হিল্ডা। ইনস্টাগ্রাম
দুবাইয়ের বাসিন্দা তাঁরা। দক্ষিণ আফ্রিকান সেই দম্পতি কলিন অ্যালিন ও হিল্ডা বাড়ির বারান্দায় ম্যারাথন দৌড়ে অভিনব সামাজিক বার্তা দিলেন বিশ্বকে!
গোটা বিশ্ব যখন করোনা-আতঙ্কে কাঁপছে, তখন অ্যালিন ও হিল্ডার এই বারান্দায় ম্যারাথন দৌড় দেখে কেউ বলছেন করোনা-সন্ত্রস্ত পৃথিবীকে সাহস জোগানোর বার্তা। কেউ বলছেন, করোনাভাইরাস-মুক্ত পৃথিবীর জন্য আবাহন দম্পতির! কী করেছেন দুবাইয়ের বাসিন্দা এই দম্পতি? শনিবার সকালে বাড়ির ২০ মিটার বারান্দায় ২১০০ বার চক্কর মেরে দৌড়ে ফেলেছেন ৪২.২ কিলেমিটার (২৬ মাইল) পথ। স্টপওয়াচ জানাচ্ছে, এই দম্পতির সময় লেগেছে পাঁচ ঘণ্টা, নয় মিনিট ও ঊনচল্লিশ সেকেন্ড!
ইনস্টাগ্রামে স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে অ্যালিন লিখেছেন, ‘‘আমরা পেরেছি...# ব্যালকনিম্যারাথন।’’ চল্লিশোর্ধ্ব এই দক্ষিণ আফ্রিকান ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে প্রথম বার ম্যারাথনে অংশ নেওয়া স্ত্রী ও রেস ডিরেক্টরের ভূমিকা পালন করা তাঁর ১০ বছরের কন্যা জিনাকেও। ধন্যবাদ জানাতে বাদ দেননি দীর্ঘ পথে উৎসাহ দিতে আসা কল্পিত জনতাকেও। যাঁদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘দৌড়ের সময়ে গোটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যে ভালবাসা, উৎসাহ ও সমর্থন আপনারা দিয়েছেন তার জন্যও ধন্যবাদ।’’ দক্ষিণ আফ্রিকান দম্পতির এই ম্যারাথনের সূচনা থেকে বারান্দায় মোড় ঘোরার নির্দেশ বা মাঝপথে জলের জোগান ও খাবার দেওয়া কিংবা অনুপ্রেরণামূলক সঙ্গীত বাজিয়ে লম্বা দৌড় শেষ করার নেপথ্যে এই রেসের ডিরেক্টর জিনা।
কিন্তু এর সঙ্গে করোনা-সন্ত্রস্ত বিশ্বকে সাহস জোগানোর যোগসূত্র কোথায়?
সংবাদসংস্থা র কাছে সেই উত্তরও দিয়েছেন অ্যালিন। বলেছেন, ‘‘গোটা বিশ্বের করোনা-ত্রস্ত মানুষকে অন্য ভাবে কিছু চিন্তা করানোর জন্যই এই প্রয়াস। এর পরবর্তী পদক্ষেপে গোটা বিশ্বকে নিয়ে আরও বড় দৌড়ের পরিকল্পনা করছি। দুনিয়া জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে লকডাউনের জন্য যে সব মানুষেরা এখন নিরাপত্তার জন্য ঘরে বসে থাকলেও নিজেদের পা প্রসারিত করে এগোতে চান, আগামী দিনে তার জন্যই এই পদক্ষেপ করা।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এর উদ্দেশ্য, সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে ফের যোগাযোগ গড়ে তোলা। কারণ করোনা সংক্রমণের ভয়ে এখন সবাই সব কিছু ভুলে কেবল রোগ নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন।’’
করোনা মহামারির জেরে ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা বন্ধ। আর লকডাউনের জেরে সাধারণের শারীরর্চচাও বন্ধ। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতেই এই ম্যারাথনের উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন অ্যালিন। তাঁর বসবাসের শহর দুবাইয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত লকডাউন ছিল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৮।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy