Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

বিমান হাতছাড়া, ক্লাবেই চোখ এখন কিবু-মারিয়োদের

দেশে ফিরে আসার জন্য স্পেনের দূতাবাস গত দু’সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ রাখছিল কিবু, বেইতিয়া, ফ্রান গঞ্জালেস, খুয়ান মেরা গঞ্জালেস, কোলাদোদের সঙ্গে।

উদ্বেগ: পরিবারের জন্য চিন্তিত কিবু, মারিয়ো।  ফাইল চিত্র

উদ্বেগ: পরিবারের জন্য চিন্তিত কিবু, মারিয়ো। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০৬:০২
Share: Save:

স্পেন থেকে পাঠানো শেষ বিমান ধরার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন কিবু ভিকুনা, মারিয়ো রিভেরারা। এখন দেশে ফেরার জন্য ফেডারেশন ও ক্লাবের দিকে তাকিয়ে শহরে থাকা দুই প্রধানের এগারোজন ফুটবলার এবং কোচ।

দেশে ফিরে আসার জন্য স্পেনের দূতাবাস গত দু’সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ রাখছিল কিবু, বেইতিয়া, ফ্রান গঞ্জালেস, খুয়ান মেরা গঞ্জালেস, কোলাদোদের সঙ্গে। মাদ্রিদ-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন বহু মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যাও প্রচুর। এই অবস্থায় ভারতে কাজ করতে আসা স্পেনীয়দের বিভিন্ন দিনের বিমানের টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিমানবন্দরে। চিঠি দিয়ে ফ্রান গঞ্জালেসদের প্রত্যেকের নামে রাখা টিকিট পাঠানোর খবর ই-মেল করে জানানোর পাশাপাশি বলা হয়েছিল, ২৫ কেজির বেশি জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়া যাবে না। শেষ বিমানটি ভারতে নামার কথা ছিল রবিবার। কিন্তু আই লিগ শেষ না হওয়ায় মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় ফুটবলারদের কেউই যেতে পারেননি দেশে। রাজারহাটের আবাসনে ঘরবন্দি হয়ে আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন সকলে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ এবং টিভিতে স্পেনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ছবি দেখছেন এক সঙ্গে বসে। সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ— দু’পক্ষের স্পেনীয় ফুটবলারেরা মাঠের বিরোধ দূরে সরিয়ে মিশে গিয়েছেন। আলোচনা করছেন নিজেদের দেশ নিয়ে। আর চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছেন ফেডারেশনের দিকে। আই লিগ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির ফুটবল কর্তারা, তা জানার জন্য উন্মুখ সকলেই।

আপাতত ঠিক আছে, ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কী সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার, তার উপরে নির্ভর করছে আই লিগের ভবিষ্যৎ। লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে আই লিগ বাতিল হয়ে যেতে পারে। ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ বলে দিয়েছেন, ‘‘লকডাউন পুরো এপ্রিল মাস চললে আই লিগ করা কঠিন। লিগ বাতিল হলে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করে দেওয়া হবে। অবনমন বন্ধ করে দেওয়া হবে।’’ পরিস্থিতি যা, তাতে ১৫ এপ্রিলের আগে মোহনবাগানের কিবু বা ইস্টবেঙ্গলের মারিয়ো রিভেরা—কারওরই দেশে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলবে না। তাঁদের সঙ্গে থাকা স্পেনীয় ফুটবলারদেরও বাকি ন’দিন তাই অপেক্ষার প্রহর গুনতেই হবে পরিবারের চিন্তা নিয়ে। কিবু এদিনও বলেছেন, ‘‘আমার পরিবারের কয়েক জনের বয়স ষাট-সত্তর বয়সের বেশি। তাদের নিয়েই চিন্তা।’’ আর ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিয়োর চিন্তা, গ্রানাদায় তাঁর গৃহবন্দি হয়ে থাকা পরিবার নিয়ে। মা এবং স্ত্রীর কথা ভেবে তিনি বিমর্ষ।

দুই প্রধানের কর্তারাই কোচ, ফুটবলারদের মানসিক অবস্থা জানেন। মোহনবাগানের এক কর্তা বললেন, ‘‘লিগ বাতিল হয়ে গেলে দ্রুত বকেয়া মিটিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করব।’ ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল দলের দায়িত্বে থাকা বিনিয়োগকারীরদের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তাঁরাও একই পথে হাঁটবেন বলে জানা গিয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE