ঋতম পোড়েল
স্থানীয় ক্রিকেটে ফের দুর্ঘটনা ঘটে গেল শুক্রবার। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ফিল্ডিং করার সময় কানের নীচে বল লাগায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হল ইস্টবেঙ্গলের ঋতম পোড়েলকে। এ দিন রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে ভয়ের কিছু নেই। তিনি অনেকটাই বিপন্মুক্ত।
এ দিন ইডেনে ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুর এএন ঘোষ ট্রফির ফাইনাল খেলার সময় ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ফিল্ডিং করছিলেন ঋতম। সেই সময় আচমকাই ভবানীপুরের প্রিনান দত্তের সপাট শট তাঁর কানের নীচে এসে লাগে।
সঙ্গে সঙ্গে খেলা থামিয়ে দেওয়া হয়। চোট লাগা জায়গাটা ফুলে যায়। অস্বস্তি বোধ করায় দ্রুত নাইটিঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ঋতমকে। সেখানে এমআরআই হয়। রাতে ঋতম নিজে ফোনে বলেও দিলেন, ‘‘এখন অনেক ভাল আছি। কানের নীচে যে জায়গাটায় লেগেছে, সেখানেই শুধু সমস্যা। জায়গাটা ফুলে আছে। এমআরআই হয়েছে, কিন্তু রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।’’
প্রয়াত অঙ্কিত কেশরীর ঘটনার পরে ঋতমের চোটের খবরে বাংলার ক্রিকেটমহলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। মাস কয়েক আগে ইস্টবেঙ্গলের হয়েই স্থানীয় ম্যাচে খেলার সময় এতটাই গুরুতর চোট পান অঙ্কিত যে, নানা চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ইস্টবেঙ্গল থেকে এ দিন আশ্বস্ত করা হল যে, ভয়ের কিছু নেই। ঋতম সুস্থ আছেন। ক্লাবের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘আমি যেটুকু জেনেছি, ওর অবস্থা এখন ভাল।’’ এটাও বলা হল যে, চব্বিশ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে রবিবার ছেড়ে দেওয়া হতে পারে ঋতমকে।
কিন্তু প্রশ্ন একটা উঠছে। প্রশ্ন হল, অঙ্কিতের মৃত্যু ঘটেছিল এই নাইটিঙ্গল হাসপাতালেই। তা হলে কেন ফের নাইটিঙ্গলকেই বেছে নিল সিএবি? বিশেষ করে যখন অ্যাপোলোর সঙ্গে সিএবির এই মুহূর্তে চুক্তি আছে। উত্তরে সিএবি টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত সরকার বললেন, ‘‘নাইটিঙ্গল হাসপাতাল ইডেন থেকে কাছে হয়, তাই। এ সব ক্ষেত্রে যাতে সময় নষ্ট না হয়, সেটা দেখতে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy