ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।—ছবি এএফপি।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যুক্তরাষ্ট্রের মডেল ক্যাথরিন মায়োরগাকে ৩৭৫,০০০ মার্কিন ডলার (প্রায় দু’কোটি ৭০ লক্ষ টাকা) দেওয়ার কথা স্বীকার করলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ২০১০ সালে সেই মডেলকে এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকার করেছেন রোনাল্ডোর আইনজীবীরা।
মার্কিন মডেল মায়োরগা অভিযোগ করেছিলেন রোনাল্ডো ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন। রোনাল্ডো সেই অভিযোগ তীব্র ভাবে অস্বীকার করেছেন। লাস ভেগাস প্রশাসন গত মাসে জানিয়েছিলেন, রোনাল্ডোকে অপরাধী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ নেই। এর পরে মায়োরকা দেওয়ানি মামলার উদ্যোগ নেন। রোনাল্ডোর আইনজীবী সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বলেছেন, মায়োরগার সঙ্গে আগেই এ ব্যাপারে মিটমাট হয়ে গিয়েছে। গোপন চুক্তিও হয়েছিল ২০১০ সালে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে।
রোনাল্ডোর আইনজীবী আরও বলেছেন, এই অর্থ দোষ স্বীকার করতে নয়, গোটা ঘটনা জনসমক্ষে যাতে না আসে সে জন্য দেওয়া হয়েছিল। পর্তুগিজ তারকার আইজীবীরা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন ২০০৯ সালে রোনাল্ডোর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল মায়োরগার। কিন্তু তাঁদের দাবি, সেটা দু’জনের সম্মতিতেই হয়েছিল। গত অক্টোবরে রোনাল্ডো বলেছিলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা অস্বীকার করছি। ধর্ষণ একটা ঘৃণ্য অপরাধ। আমি কোনও অবস্থাতেই তা সমর্থন করি না।’’ রোনাল্ডোর মা ডলোরেস এক মাস ধরে চলা তদন্তে রোনাল্ডোর পাশে ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন, ‘‘যাই হোক না কেন, ছেলেকে নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’’ তিনি মার্কিন মডেলকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘ও নিশ্চয়ই রোনাল্ডোর হোটেলে শুধু তাস খেলতে যায়নি।’’রোনাল্ডোর স্প্যানিশ বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজও পাশে দাঁড়িয়েছেন রোনাল্ডোর।
দেওয়ানি মামলায় ক্ষতিপূরণ বাবদ মায়োরগা দু’লক্ষ ডলারেরও বেশি দাবি করেছিলেন। সেই মামলা এখন ফেডেরাল আদালতে গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার পরে ভাল করে তদন্ত করতে পারেনি। কারণ, মায়োরগা বলতে চাননি কে তাঁকে হেনস্তা করেছিলেন এবং কোথায় ঘটনাটা ঘটে। ফলে তদন্তকারীরা ‘ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণ’ সংগ্রহ করতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy