আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালস-কে দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড করল সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত লোঢা কমিটি। লোঢা কমিটি। সেই সঙ্গে ম্যাচ গড়াপেটায় দোষী সাব্যস্ত করে গুরুনাথ মইয়াপ্পন এবং রাজ কুন্দ্রাকে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসনের সাজা শোনাল কমিটি। ওই রায়ে বলা হয়েছে, শুধু আইপিএল নয়, বিসিসিআই নয় গোটা ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন মইয়াপ্পন-কুন্দ্রারা। ক্রিকেটের ইতিহাসে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ নজির হলেও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন এ যেন পর্বতে মূষিক প্রসব।
১৪ জুলাই যখন সাজা শোনানোর দিন নির্ধারিত হয়, তখন থেকেই জল্পনা চলছিল এই দুই দলের ভাগ্যে কী আছে। অনেকেই ভেবেছিলেন বড় অঙ্কের জরিমানা করে দু’দলকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে চেন্নাই ও রাজস্থানকে একেবারে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিল লোঢা কমিটি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রায় নিয়ে সরগরম ছিল ক্রিকেট মহল থেকে গোটা দেশ। সকলের নজর ছিল দিল্লির লোধি রোডের সিলভার ওক টু, ইন্ডিয়া হ্যাবিটাট সেন্টারের উপর। ঠিক দুপুর একটা নাগাদ সাংবাদিকদের সামনে রায়ের কথা শোনাল লোঢা কমিটি।
রায় ঘোষণার আগেই এই মামলার পিটিশনার বিহার ক্রিকেট বোর্ডের সচিব আদিত্য বর্মা অবশ্য জানিয়েছিলেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে চলেছে। তাঁর সে কথাই সত্যি হল।
২০১৩-র ১৬ মে যখন স্পট ফিক্সিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে তখন থেকেই ডামাডোল শুরু হয় ক্রিকেট মহলে। এই কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় শ্রীসন্থ-সহ রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটারকে। তার পর জল অনেক দূর গড়ায়। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একে একে উঠে আসে গুরুনাথ মইয়াপ্পন, রাজ কুন্দ্রা-র মতো ব্যক্তিত্বের নাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy