—ফাইল চিত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ছন্দে ফিরল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। জেসন রয়ের দুরন্ত ইনিংস মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জেতাল দিল্লিকে। আজ, রবিবার বিকেলে কলকাতা চলে আসছেন মহম্মদ শামিরা। সোমবার ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে দল নিয়ে নামবেন তাদের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর।
শনিবার ওয়াংখেড়েতে দিল্লির জয়ের নায়ক রয় ৫৩ বলে অপরাজিত ৯১ রান করলেন। মুম্বইয়ের ১৯৪ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে দিল্লি। এই ম্যাচেও শেষ বলেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে দু’দলের। মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ আসলেও তা কাজে লাগাতে পারলেন না এই বাংলাদেশের পেসার।
শেষ ওভারে দিল্লির জিততে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। মুস্তাফিজুরের ‘অফকাটার’ অস্ত্র কাজে লাগানোর জন্যেই তাঁর হাতে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁর প্রথম দু’টি অফকাটার ঠিক জায়গায় না পড়ার কারণে দু’বলেই দশ রান করে ফেলেন রয়। তখন চার বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র এক রান। শেষ ওভারের তৃতীয় বল থেকে নিয়ন্ত্রণ ফিরে আসে মুস্তাফিজুরের। পরপর তিনটি বলের একটিও ব্যাটে লাগাতে পারেননি ইংল্যান্ডের ওপেনার। এমনকী শেষ বলেও আউট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল রয়ের। তিরিশ গজের গণ্ডির ভিতরে অধিকাংশ ফিল্ডার থাকার কারণে বলটি ধরতে
পারেননি কেউই।
শনিবার শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিমায় ব্যাট করতে শুরু করেছিলেন মুম্বই ওপেনাররা। রোহিত শর্মার বদলে এভিন লুইসের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন সূর্যকুমার যাদব। দুই ওপেনারের দাপটে তৃতীয় ওভারেই পঞ্চাশ রান উঠে যায়। একশো রানের জুটিও গড়েন দুই ব্যাটসম্যান। ৩২ বলে ৫৩ রান করেন সূর্যকুমার। ২৮ বলে ৪৮ রান করে আউট হন এভিন লুইস। তিন নম্বরে নামা ঈশান কিসান করেন ২৩ বলে ৪৪।
মুম্বইয়ের রানের গতি দেখে দিল্লি অধিনায়ক ভেবেছিলেন, দু’শোর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হবে তাঁদের। তবে শেষের দিকের ওভারগুলোয় মহম্মদ শামি (১-৩৬) ও ট্রেন্ট বোল্টের (২-৩৯) জন্যই ১৯৪ রানে আটকে যায় মুম্বইয়ের ব্যাটিং। ম্যাচ শেষে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘বোল্ট ও শামির কৃতিত্বেই দু’শো রানের আগে প্রতিপক্ষকে আটকাতে পেরেছি। ১৫ ওভার পর্যন্ত ভেবেছিলাম ২৩০ থেকে ২৪০ রান তাড়া করতে হবে আমাদের। শেষের দিকে ওদের বোলিংই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।’’
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে শুরু করেন রয় ও গম্ভীর। পাওয়ার প্লের এক ওভার বাকি থাকতেই পঞ্চাশ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় দিল্লি। সেখান থেকে দিল্লিকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন রয়।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে ১৯৪-৭, (সূর্যকুমার যাদব ৫৩, এভিন লুইস ৪৮)। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ২০ ওভারে ১৯৫-৩। (জেসন রয় ৯১ ন.আ., ঋষভ পন্থ ৪৭)। সাত উইকেটে জয়ী দিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy