ছন্দে: দেওধর ট্রফির প্রথম ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি মনোজের। ফাইল চিত্র
হনুমা বিহারী, মনোজ তিওয়ারি ও বাঁ হাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিমের সৌজন্যে দেওধর ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারত ‘এ’-কে ৪৩ রানে হারাল ভারত ‘বি’। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলার কঠিন পিচে প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান করে ভারত ‘বি’। জবাবে বিপক্ষ অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের লড়াকু ৯৯ রানের ইনিংস জেতাতে পারেনি ভারত ‘এ’ দলকে।
মঙ্গলবার ভারত ‘এ’-র বিরুদ্ধে ৯৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রেয়স আইয়ার (৪১)-এর ভারত ‘বি’। রুতুরাজ গায়কওয়াড় (২), মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৪৭) ও শ্রেয়সের উইকেট হারানোর পরে ইনিংসের হাল ধরেন মনোজ তিওয়ারি ও হনুমা বিহারী। মোট ৯৯ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ৯৫ বলে অপরাজিত ৮৭ রান করেন হনুমা। মনোজ করেন ৫৮ বলে ৫২ রান। জবাবে ৪৬.৪ ওভারে ২১৮ অল আউট ভারত ‘এ’। নেপথ্যে শাহবাজ নাদিম ও মায়াঙ্ক মার্কণ্ডের দুরন্ত ঘূর্ণি।
মঙ্গলবারের হাফসেঞ্চুরি ধরা হলে দেওধর ট্রফির শেষ তিন ইনিংসে তিনটি হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন বাংলার অধিনায়ক। এমনকি গত মরসুমে দেওধর ট্রফির প্রথম ম্যাচে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ১১৫ বলে ১১৭ রান করেছিলেন মনোজ। তবুও জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে মুখ খুলতে চান না
বাংলার অধিনায়ক।
মনোজ বলেন, ‘‘আমাদের কাজ রান করা। যখনই সুযোগ পাব, রান করে যাব। দেওধর ট্রফিতে আমার রেকর্ড খুব একটা খারাপ নয়। গত বছরে দু’টি হাফসেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি রয়েছে। এ বছরও শুরু হল হাফসেঞ্চুরি দিয়ে। আশা করছি ভারত ‘সি’-র বিরুদ্ধেও সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারব।’’
রান পেলেও দিল্লির উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি। গোটা ম্যাচ জুড়ে উইকেট থেকে সাহায্য পেয়েছে বোলাররা। যেখানে অশ্বিন, ক্রুণাল পাণ্ড্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতে ফিরেছেন মনোজ। তাঁর কথায়, ‘‘অশ্বিনের বোলিংয়ে এত বৈচিত্র, যা বুঝে রান করা বেশ কঠিন। তার সঙ্গে ক্রুণালও ভাল বল ঘোরাচ্ছিল। তাই ঝুঁকিহীন ব্যাটিং করেছি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পরে আমি আর হনুমা ঠিক করেছিলাম স্ট্রাইক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলব। বুঝতে পেরেছিলাম ২৫০ থেকে ২৬০ রান এই পিচে জেতার স্কোর।’’ নিজের আউট নিয়েও আফসোস বাংলার অধিনায়কের। বলেন, ‘‘লড়াকু ইনিংস খেলার পরে রান আউট হওয়ার মতো খারাপ অনুভূতি হয় না। কিন্তু কী করা যাবে! ওই জায়গা থেকে আর ফেরার উপায় ছিল না।’’
আজ রাহানেদের লড়াই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক অথবা জাতীয় স্তরের ক্রিকেট। দু’টোকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে খেলেন অজিঙ্ক রাহানে। বুধবার দেওধর ট্রফিতে ভারত ‘বি’-র বিরুদ্ধে নামছেন তিনি, ভারত ‘সি’-র অধিনায়ক হয়ে। তার আগে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দিলেন, এখনও নিজেকে ছাত্র হিসেবেই দেখেন ভারতীয় টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক।
রাহানে বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেরার পরে ঘরোয়া ক্রিকেটে সমান মনোভাব ও আবেগ নিয়েই নামা উচিত। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভাল না হলেও সঠিক মানসিকতা খুবই জরুরি।’’ রাহানে জানিয়েছেন, সব সময়ে নতুন জিনিস শেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy