ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে দীপার বাবা-মা। সোমবার। ছবি: বাপি রায়চৌধুরী।
স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট ভুলে দৃঢ় সংকল্পের জেদ।
আফসোসের অন্ধকার মুছে নতুন আলোর সন্ধান।
অতীতের সরণিতে রিওকে রেখে ভবিষ্যতের টোকিও-প্রস্তুতি।
তাঁদের আদরের মেয়ে অলিম্পিক্স-পদক হাতছাড়া করেছেন চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি। তার মধ্যেই বিষণ্ণতার কালো মেঘ সরিয়ে নতুন মিসাইল বানানোর কাজে নেমে পড়ল উজান অভয়নগরের কর্মকার-পরিবার।
মিসাইলের নাম: দীপা-২০২০।
টার্গেট: টোকিও।
তবে এ বারের যুদ্ধে দীপা একা নন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। সোমবার সকালে আগরতলার প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রাখেন, তাতে দীপার-প্রসঙ্গই চলে পনেরো মিনিট ধরে। এমনকী ত্রিপুরার সোনার মেয়েকে দিয়েই তাঁর বক্তৃতা শুরু হয়। স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চে এ রকম ঘটনা বিরল বললেই চলে। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘দীপা আমাদের গর্ব। আমরা জানি কত প্রতিকূলতা পেরিয়ে ও ইতিহাস গড়েছে। তবে পরের যুদ্ধটা একা দীপার নয়। গোটা ত্রিপুরাবাসী মিলে লড়বে।’’
দীপার সঙ্গে এ দিন তাঁর বাবা দুলাল কর্মকার, কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী এবং সোমা নন্দীর প্রশংসাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘‘দীপাকে আদর্শ করা উচিত নতুন প্রজন্মের। আমাদের রাজ্যে এত নামী কোচেরা আছেন। আমরা একটা নয়, জিমন্যাস্টিক্সে আরও দীপা তৈরি করতে চাই।’’ এ দিন রাতে রাজ্যপালের বাড়িতেও ডেকে পাঠানো হয় দীপার মা-বাবাকে। সেখানে মেয়ের প্রস্তুতির জন্য কী রকম সাহায্য লাগবে, দুলালবাবুর কাছে জানতে চান ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। দীপার বাবা বলছিলেন, ‘‘যে ভাবে সরকার আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে, তাতে মনে হচ্ছে টোকিওর প্রস্তুতিতে কোনও খামতি হবে না।’’
জেদ। সংকল্প। সাহায্য। এবং মানসিকতা। সব কিছুই আছে। শুধু অপেক্ষা চার বছরের। একমাত্র দীপাই যে দ্বীপ জ্বালাতে পারেন গোটা ভারতবাসীর হৃদয়ে। রিওতে পদক হারালেও, অন্তত এটুকু বিশ্বাস তিনি নিশ্চয়ই অর্জন করে ফেলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy