সফল: সোনা জিতে দেশে ফিরলেন দীপা কর্মকার। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই
প্রোদুনোভা ভল্ট তিনি ছাড়েননি। এশিয়ান গেমসের পরেই প্রোদুনোভা ভল্ট নিয়ে ফিরবেন প্রতিযোগিতায়। তুরস্কে বিশ্ব চ্যালেঞ্জ কাপ থেকে সোনা জিতে মঙ্গলবার দেশে ফেরার পরে জানিয়ে দিলেন ভারতীয় জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার।
তাঁর কথায়, ‘‘নিশ্চয়ই প্রোদুনোভা ভল্ট নিয়ে ফিরব। কিন্তু কিছুটা সময় লাগবে। এই ভল্ট আয়ত্ত করতে প্রচুর সময় লাগে। অস্ত্রোপচারের পরেই তা ফিরিয়ে আনা কিছুটা মুশকিল। অনুশীলনে পুরোপুরি নিখুঁত না হয়ে, হঠাৎ প্রোদুনোভা শুরু করলে বড় চোট লাগার সম্ভাবনা থাকবে।’’
ভারতীয় এই জিমন্যাস্টের কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী জানিয়ে দেন, ‘‘এখনও হাঁটুর চোট পুরোপুরি যায়নি দীপার। চলতি বছরের শেষ থেকেই শুরু হবে ওর প্রোদুনোভা অনুশীলন। আশা করছি, অতীতে যে ভাবে প্রোদুনোভা ভল্ট রপ্ত করেছিল ও, এ বারও ঠিক সে ভাবেই দক্ষতা ফিরে পাবে।’’
তুরস্কে দীপা স্কোর করেছিলেন ১৪.১৫। ভারতীয় এই জিমন্যাস্ট বলছেন, ‘‘এশিয়ান গেমস অত্যন্ত কঠিন একটা প্রতিযোগিতা। চিন, জাপান, কোরিয়ার জিমন্যাস্টরা অংশ নেবে। তাই পদক পাবই, জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাই করব।’’ দীপা আরও বলেন, ‘‘কোথায় নিজের খামতি রয়েছে, তা বের করে ফেলেছি। এ বার সেই সমস্যার জায়গাগুলো মেরামত করে এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি নেব। তবে স্কোর আরও বাড়াতে হবে পদক পেতে গেলে। ১৪.২ বা ১৪.৩ হলে এশিয়ান গেমস থেকে পদকের আশা করতেই পারি। ১৪.১৫ খুব খারাপ স্কোর নয়। পায়ে ব্যথা আছে এখনও। তবে কোচ যে ভাবে বলবেন, সে ভাবেই এগিয়ে যাব।’’
দীপার এই কথার সূত্র ধরে তাঁর কোচ বলেন, ‘‘সোনা জিতে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে দীপার। আশা করছি, যে জায়গাগুলোতে সমস্যা হচ্ছে তা সারিয়ে ফেলা যাবে। পদক পাওয়ার জন্য দীপার লক্ষ্য ১৪.৫। এটা দীপার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘হ্যান্ডস্প্রিংয়ে ৩৬০ থেকে ৫৪০ করা হলে এবং সুকাহারা ৭২০ করা হলে তা এশিয়ান গেমসে দীপার পারফরম্যান্স ভাল করতে সাহায্য করবে। আর তার পরে প্রোদুনোভা যদি দীপা ফের রপ্ত করে ফেলতে পারে, তা হলে বিশ্ব পর্যায়ে পৌঁছে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy