আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। পদকের লক্ষ্যে অলিম্পিক্সের আসরে নেমে পড়বেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। যাঁর দিকে তাকিয়ে গোটা ভারতবর্ষ তো বটেই। সঙ্গে গোটা বিশ্ব। তাঁর সেরা প্রদুনোভা ভল্টে কী খেল দেখাবেন তিনি? সেই দিকেই তাঁকিয়ে সব্বাই। ভল্ট ফাইনালে দীপা যেদিন নামছেন তার ঠিক পরের দিনই স্বাধিনতার উৎসবে মাতবে ভারত। দেশকে পদক দিয়েই সেই উৎসবে যোগ দিতে পারবেন কী দীপা? কিন্তু ২৩ বছরের ত্রিপুরার এই মেয়ের পদকের রাস্তাটা একদমই সহজ নয়। সামনে রয়েছেন কঠিন সব প্রতিপক্ষ। কে নেই সেই তালিকায়। আমেরিকার সিমন বাইলস, রাশিয়ার মারিয়া পাসেকা, উত্তর কোরিয়ার হং উন-জং। দেখে নেওয়া যাক দীপার প্রতিপক্ষরা কারা।
সিমোন বাইলস (আমেরিকা): ১৯ বছরের সিমোন ফাইনালে পৌঁছেছিলেন সেরা হয়েই। দুটো ভল্টে তাঁর স্কোর ছিল ১৬.০৫০।
হং উন-জং (উত্তর কোরিয়া): তিনিই প্রথম উত্তর কোরিয়ার জিমন্যাস্ট যাঁর হাত ধরে পদক এসেছিল দেশে বেজিং অলিম্পিক্সে। তাঁর স্কোর ছিল ১৫.৬৮৩।
জিউলিয়া স্টেইনগ্রাবার (সুইজারল্যান্ড): গত দু’বছর ধরে ইউরোপ কাঁপিয়ে এ বার তিনি অলিম্পিক্স পদকের সামনে। ২২ বছরের জিউলিয়া ফাইনালে পৌঁছেছিলেন১৫.২৬৬ স্কোর করে।
মারিয়া পাসেকা (রাশিয়া): ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। এ বার তাই লক্ষ্য অবশ্যই সোনা। টিম গেমে ইতিমধ্যেই রুপো জিতেছেন। ফাইনালে পৌঁছেছেন ১৫.০৪৯ স্কোর করে।
ওকসানা চুসোভিতিনা (উজবেকিস্তান): সোভিয়েত ইউনিয়ন ও জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করার পর এ বার তিনি উজবেকিস্তানের হয়ে নেমেছেন। ৪১ বছরের ওকসানা ফাইনালে পৌঁছেছেন ১৪.৯৯৯ স্কোর করে।
শ্যালন ওলসেন (কানাডা): ১৬ বছরের শ্যালন হঠাৎই উঠে এসেছেন লাইম লাইটে। গত সপ্তাহে তাঁর ভল্ট দিয়ে চমকে দিয়েছেন দুনিয়াকে। কোয়ালিফিকেশনে স্কোর করেছিলেন ১৪.৯৫০।
ওয়াং ইয়ান (চিন): আরও এক ১৬ বছরের জিমন্যাস্ট ওয়াং। যদিও স্কোরের দিক থেকে বাকিদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু চমকে দিতে পারেন ফাইনালে। স্কোর ছিল ১৪.৯৪৯।
আরও খবর
আজ দু’টো ভল্টে ভর করে বাঙালির স্বপ্ন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy