অনুশীলনে দ্যুতি চাঁদ। ছবি: এএফপি।
শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছেন স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ। জেন্ডার সমস্যায় ২০১৪ এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়া হয়নি দ্যুতির। দীর্ঘ কোর্ট কেসের পর মুক্তি। এ বার তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, জীবন থেকে যে সময় হারিয়ে গিয়েছে তা ফিরিয়ে আনবেন এই এশিয়ান গেমসেই। জাকার্তা এশিয়ান গেমসে সুযোগ পেয়ে দ্যুতি বলেন, ‘‘আমি খুব খুশি। আমি ২০১৪ এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে পারিনি হাইপারএন্ড্রোগাইনিজম পরিস্থিতির জন্য। এটাই আমার গুরুত্ব প্রমাণ করার সুযোগ।’’
হায়দরাবাদে এই মুহূর্তে ট্রেনিং করছেন দ্যুতি। সেখানেই তিনি জানান, তাঁর আশা তাঁর হার্ড ওয়ার্ক কাজে দেবে। তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনওই ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবিনি। একজন অ্যাথলেটের জন্য দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা একটা স্বপ্ন। আর যা ঘটেছে সেটা আমার দোষ নয়।’’ এই চার বছর দ্যুতির জন্য রাস্তাটা সহজ ছিল না। যখন এই সমস্যার মধ্যে পড়লেন তখন বেশ ছোট এই মেয়ে। এখন বয়স ২২। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এখন নিজের সেরাটা দিতে চান দ্যুতি। পরীক্ষা করে দেখা যায় দ্যুতির শরীরে পুরুষ হর্মোনের পরিমাণ বেশি। যে কারণে আন্তর্জাতিক ফেডারেশন তাঁকে কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেয়নি।
এর পর দ্যুতি দ্বারস্থ হন স্পোর্টসের কোর্ট অব আরবিট্রেশনের। যার ফল শেষ পর্যন্ত তাঁর পক্ষেই গিয়েছে। দ্যুতি বলেন, ‘‘আমরা ছ’বোন। কারণ আমার মায়ের ছেলের চাহিদা ছিল কিন্তু সেটা হয়নি। আমরা খুব গরীব। দু’বেলার খাওয়ার জোগার করাও ছিল আমাদের জন্য কঠিন। তাই আমি খেলা বেছেনি টাকা রোজগারের জন্য।’’ তিনি শুধু দৌড়তেন। কখনও এই সব সম্পর্কে শোনেননি। এই চার বছর আমি প্রচন্ড মানসিক চাপে ছিলাম। আমার ট্রেনিংয়ে মনোনিবেশ করতে পারিনি। বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত মানুষ বুঝেছে। আমি কেস জিতেছি।’’
আরও পড়ুন
জাকার্তা, ইংল্যান্ডে উঠল ভারতের পতাকা, পালন হল স্বাধীনতা দিবস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy