Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভূমিকম্পের ভয়ে খালি গায়েই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল ছেলেরা

গত বারের চ্যাম্পিয়ন কেকেআর অধিনায়ক আবার কলম ধরলেন আনন্দবাজারের জন্য। নাইট সংসারের সব হালহকিকত জানাচ্ছেন গৌতম গম্ভীরশনিবার দুপুরে ভূমিকম্পে শুধু নেপালেই নাকি সাতশো মানুষ মারা গিয়েছেন! ৮০ বছরে এটাই নাকি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প! এই লেখার সময় মিডিয়াতে সে রকমই খবর। নিহত ও আহতদের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। আসলে প্রকৃতি মা আমাদের এ ভাবেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, তিনিই সবার উপরে। শনিবার ভবানীপুর কলেজে যখন আমার ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে ছিলাম, তখনই এই ভূমিকম্প হয়।

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২০
Share: Save:

শনিবার দুপুরে ভূমিকম্পে শুধু নেপালেই নাকি সাতশো মানুষ মারা গিয়েছেন! ৮০ বছরে এটাই নাকি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প! এই লেখার সময় মিডিয়াতে সে রকমই খবর। নিহত ও আহতদের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। আসলে প্রকৃতি মা আমাদের এ ভাবেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, তিনিই সবার উপরে।

শনিবার ভবানীপুর কলেজে যখন আমার ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে ছিলাম, তখনই এই ভূমিকম্প হয়। মঞ্চে যখন আমার সতীর্থ নাইটদের সঙ্গে বসেছিলাম, তখন কিন্তু কিছুই বুঝতে পারিনি। হয়তো কলেজের অত্যুৎসাহী ছাত্র-ছাত্রীদের উল্লাসে বা আমার মনের মধ্যে অন্য কিছু চলায় ঠিক টের পাইনি। কিন্তু অনুষ্ঠানের পরই যখন মোবাইলটা সুইচ-অন করলাম, তখনই বুঝতে পারলাম কী হয়েছে। পূর্ব ও উত্তর ভারত নাকি ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে। শুনেই আগে বাড়িতে ফোন করলাম।

একটা সময় ছিল, যখন আমার মনে হত মোবাইল ফোন আসলে এক অযথা বিরক্তিকর যন্ত্র। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ভাবনাটা ভুল। এতে আপনার প্রাইভেসি নষ্ট হতে পারে, কিন্তু উল্টো দিক থেকে যখন ওই তিনটে শব্দ আপনি শুনবেন, ‘অল ইজ ওয়েল’, তখনই এর আসল মূল্য বোঝা যায়।

দুপুর একটা নাগাদ হোটেলে ফিরে এসে দেখি আমার দলের ছেলেরা প্রায় সবাই ভূমিকম্পের ভয়ে লনে বসে রয়েছে। দু’জন এমন ভয় পেয়েছে যে, ঘর থেকে বেরনোর সময় জামা পর্যন্ত পরতে ভুলে গিয়েছে। একজন তো নিজের মোবাইলের বদলে টিভির রিমোটটা হাতে করে নিয়ে বেরিয়ে এসেছে!

জানি এগুলো খুব কঠিন সময়। তবে এই সব সময়ে গুজব রটতে না দেওয়াই ভাল। জানি, ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে যেখানে, সেই নেপাল ও তার আশে পাশে এখন সর্বত্র গুজব উড়ে বেড়াচ্ছে। একজন ভাল প্রতিবেশীর মতো ভারতও তাদের অনেক সাহায্য করছে। জরুরি বৈঠক ডেকে বায়ূসেনার বিমানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ত্রান সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত মন ছুঁয়ে গেল। অনেকে নাকি ভাবছেন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার গভীরে ঢুকে পড়া চিনকে হারানোর জন্য এটা তার রাজনৈতিক চাল। কিন্তু এত সব না ব্যাপারে না ঢুকে এটুকু বলা যায়, নেপালের সাহায্য দরকার আর ভারত তা দিচ্ছে, ব্যস।

টিভিতে ভূমিকম্পের খবর দেখার ফাঁকে অবশ্য চোখ রাখছিলাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের উপরও। মুম্বই শুধু ম্যাচটা জিতল না, জিতল ১৭ হাজার অবহেলিত বাচ্চার মনও। যারা ম্যাচটা দেখতে এসেছিল মাঠে। এটা শ্রীমতি অম্বানীর উদ্যোগ এবং ওঁর এই উদ্যোগ ও দলের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল। আশা করি, আমার ফাউন্ডেশনও এক দিন এমনই প্রভাব ফেলতে পারবে সমাজে।

গত ম্যাচে সানরাইজার্সের কাছে হারটা খুব হতাশাজনক। চেয়েছিলাম, পুরো ম্যাচটা হোক। কিন্তু বৃষ্টি বাধা দিলে আর কী করা যাবে? এর মধ্যে আরও খারাপ খবর, সুনীল নারিনের অ্যকশন নিয়ে আবার সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ওর অ্যাকশন নিখুঁত কি না বোঝা যাচ্ছে না। এই ধরনের ৫০-৫০ মুহূর্তগুলোই আমার একদম পছন্দ নয়। আশা করি, ও ক্লিন চিট পেয়ে ফের আমাদের অভিযানে সঙ্গ দেবে। কিন্তু রাজস্থানের বিরুদ্ধে আজ, রবিবার ওকে খেলানো যাবে কি না, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE