—ফাইল ছবি
আই লিগের শেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে হার। ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের অষ্টম স্থানে নেমে যাওয়ায় অবনমনের আতঙ্কে ভুগতে শুরু করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। এই পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর ‘চায়ে পে চর্চা’ পন্থা অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন লাল-হলুদের কর্তারা! তবে চায়ের বদলে মধ্যাহ্নভোজে খুয়ান মেরা গঞ্জালেস, লালরিনডিকা রালতেদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।
চব্বিশ ঘণ্টা আগে কল্যাণীতে আইজল এফসির বিরুদ্ধে হারের পরেই কোচ মারিয়ো রিভেরা দ্রুত ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এই কারণেই শনিবার সকালের অনুশীলন বাতিল করে দেন তিনি। দুপুরেই পৌঁছে যান ময়দানে ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব তাঁবুতে। টানা ঘণ্টা দু’য়েক বৈঠক করেন তিনি।
কেন এই বেহাল অবস্থা ইস্টবেঙ্গলের? জানা গিয়েছে, বৈঠকে উদ্বিগ্ন মারিয়ো জানিয়েছেন, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ফুটবলারেরা। আত্মবিশ্বাস একদম তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে। কোলাদোদের উদ্বুদ্ধ করতেই মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। ফুটবলারদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হবে। এ দিকে, শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, আইএসএলে খেলতে তাদের কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের সহায়তাও করা হবে।
শনিবারের বৈঠকের পরেই মার্তি ক্রেসপি ও মার্কেস খিমেনেস দে লা এসপারা মার্তিনকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ শিবিরে। এই দুই স্পেনীয় ফুটবলারের বিকল্প খোঁজার দায়িত্ব কোচকেই দিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। নতুন ফুটবলার নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা ট্রান্সফার উইন্ডো (দল বদলের নির্ধারিত সময়) বন্ধ হয়ে যাওয়া। কোনও ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারকে নেওয়া সম্ভব নয়। যাঁদের চুক্তি নেই, তাঁদের মধ্যে থেকেই ফুটবলার বেছে নিতে হবে। এই কারণেই ইস্টবেঙ্গলে ফেরার সম্ভাবনা নেই জনি আকোস্তার। হতাশ মারিয়ো আইজল ম্যাচের পরেই বলেছিলেন, ‘‘কোস্টা রিকার ক্লাবে খেলছে জনি। তাই ইচ্ছে থাকলেও আনতে পারব না ওকে।’’ ক্লাবের অন্যতম শীর্ষ কর্তা বৈঠকের পরে বললেন, ‘‘রবিবার দুপুর বারোটায় ফুটবলারেরা ক্লাবে আসবে মধ্যাহ্নভোজ করতে। ওদের সঙ্গে কথা বলব। উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করব।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘কোনও ফুটবলার যদি পরিবর্তন করতে হয়, তা হলে সেটা কোচই করবেন। সব ঠিক করে দ্রুত জানাবেন তিনি।’’ এ দিন ইস্টবেঙ্গল মাঠ ঘুরে দেখেন মারিয়ো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy