লাল-হলুদ জার্সি গায়ে কলকাতা লিগেই তিনি নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। জিতে নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল জনতার মনও। লাল-হলুদ তাঁবুতে এই আলোচনাটা ঘুরপাক খেতে শুরু করে দিয়েছিল যে, কেরল থেকে আসা জবি জাস্টিন ময়দানে থাকতেই এসেছেন।
কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল খেতাব জিততে পারেনি। তবে, এবারের আই লিগটা দুর্দান্তভাবে শুরু করেছিল আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের ছেলেরা। টানা দুটি ম্যাচে জিতে বাকি দলগুলোর চাইতে অনেকটা এগিয়ে থেকেই অভিযান শুরু করলেও পরপর তিনটি হার বেশ কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে তাদের।
শুরুর ম্যাচ থেকেই যিনি গোলের মধ্যে ছিলেন সেই মেক্সিকান স্ট্রাইকার এনরিকে এসকুয়েদাকে রবিবারের বড় ম্যাচে পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। মেনেন্দেসের পক্ষে খবরটা মোটেই খুব একটা স্বস্তির নয়। অ্যাজটেকা সভ্যতার দেশ থেকে আসা এই স্ট্রাইকার কিন্তু গোলের মধ্যেই ছিলেন। পাঁজরের হাড়ে চিড় ধরায় তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছে নিজের দেশে। আসলে রবিবারই কলকাতা ডার্বিতে হতে পারত এনরিকের অভিষেক। হল না বলে এনরিকে নিজে হতাশ তো বটেই, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও রীতিমতো হাত কামড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: আজকের ডার্বিতে রক্ষণই বড় চিন্তার কারণ শঙ্করলালের
আরও পড়ুন: এভার্টনকে হারিয়ে আবার লিগ শীর্ষে সেই সিটি
সদ্য আসা বিদেশি স্ট্রাইকার কোলাদোকে লাল-হলুদ কোচ রবিবার মাঠে নামাবেন। তবে, ছয় ম্যাচে ইতিমধ্যেই ৪ গোল যাঁর নামের পাশে সেই জবি জাস্টিনই যদি হয়ে ওঠেন রবিবাসরীয় ডার্বির নায়ক মনে হয় না সেটা খুব বেমানান হবে বলে। সত্যিই লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চমত্কার মানিয়ে নিয়েছেন জবি। তাঁর চুলের স্টাইলও বেজায় পছন্দ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের।
বিপক্ষ দলে নেই সনি নর্দের মতো ম্যাচ ঘোরানো ফুটবলার। লাল-হলুদ কোচ অবশ্য ব্যাপারটা নিয়ে তেমন ভাবছেনই না। বরং, দিপান্দা ডিকা ও হেনরি কিসেক্কার জুটিকে যথেষ্ট সমীহ করছেন মেনেন্দেস। মনে মনে আজ তাঁরও যে প্রার্থনা, মোহন আক্রমণভাগের এই দুই শানিত অস্ত্রকে ঠিকঠাকভাবে সামলে নিক তাঁর দলের রক্ষণভাগ।
(মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল থেকে এটিকে। কলকাতা ডার্বি, আইলিগ থেকে আইএসএল, কলকাতা ময়দানের সমস্ত খবর জানতে পড়ুন আমাদের খেলাবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy