ছবি: সংগৃহীত।
আইএসএলে খেলা নিয়ে ফের প্রকাশ্যে বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের মতপার্থক্য।
ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারী সংস্থার সম্পর্ক দীর্ঘ দিন ধরেই তলানিতে। ৩১ মে-র পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিচ্ছেদ হওয়ার কথাও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগে বিনিয়োগকারী সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সুব্রত নাগ ক্লাবের তিন ডিরেক্টরকে ই-মেল করেন। তিনি লেখেন, ‘‘মোহনবাগান ইতিমধ্যেই আইএসএলে খেলা পাকা করে ফেলেছে। আশা করব, ইস্টবেঙ্গলও সেই রাস্তায় হাঁটবে। আমাদের কাছ থেকে শেয়ার নিয়ে আইএসএলে খেলার জন্য কিছু কোম্পানি আগ্রহী। তাই চুক্তি অনুযায়ী ওই কোম্পানিগুলির সঙ্গে কথা বলার জন্য আপনাদের সম্মতি প্রয়োজন। এই কারণেই চিঠির সঙ্গে একটি মউ আপনাদের স্বাক্ষর করার জন্য পাঠানো হল। আশা করব, আপনারা এই সুযোগ নেবেন ও আইএসএলে খেলার জন্য উদ্যোগী হবেন।’’ এর পরেই আলোচনায় বসেছিলেন কার্যকরী কমিটির সদস্যেরা। সেখানেই বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লাব কর্তাদের কথায়, ‘‘ইস্টবেঙ্গল আগামী মরসুমে আইএসএলে খেলবেই। কিন্তু এই বিনিয়োগকারী সংস্থার উপরে আমাদের কোনও আস্থা নেই। তাই ওদের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’’ বিনিয়োগকারী সংস্থার সিইও-র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বার বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান প্রাক্তন তারকারা। শ্যাম থাপা বললেন, ‘‘বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রস্তাব খারিজ করে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। এদের জন্যই শতবর্ষে বিবর্ণ ইস্টবেঙ্গল।’’ আর এক প্রাক্তন তারকা সুকুমার সমাজপতির কথায়, ‘‘বিনিয়োগকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, আর থাকবে না। অথচ তারাই আবার আইএসএলে খেলা নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। সমর্থক ও ক্লাব কর্তাদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক।’’
বিনিয়োগকারী সংস্থাকে কাঠগড়ায় তুললেন গৌতম সরকারও। তিনি বললেন, ‘‘এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গলকে যে কোনও দল হারিয়ে দিতে পারে। এত খারাপ খেলতে ইস্টবেঙ্গলকে কখনও দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না।’’ সমরেশ চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওরা এই দলকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে। বিচ্ছেদ ছাড়া কোনও রাস্তা তাই খোলা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy