Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব, বিশ্বাস লাল-হলুদ শিবিরের

প্রধান অস্ত্রকে ছন্দে ফেরাতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গলের কোচ

আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে একমাত্র ভারতীয় তিনি। লাল-হলুদ সমর্থকদের নয়নের মণি সেই জবি জাস্টিনকে নিয়ে হঠাৎ করেই উদ্বেগের আবহ! 

মহড়া: রবিবার সকালে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে টোনির সঙ্গে অনুশীলনে মগ্ন জবি জাস্টিন। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

মহড়া: রবিবার সকালে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে টোনির সঙ্গে অনুশীলনে মগ্ন জবি জাস্টিন। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

শুভজিৎ মজুমদার
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৮
Share: Save:

আই লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে একমাত্র ভারতীয় তিনি। লাল-হলুদ সমর্থকদের নয়নের মণি সেই জবি জাস্টিনকে নিয়ে হঠাৎ করেই উদ্বেগের আবহ!

চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে গোল পাননি জবি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া তা নিয়ে বিচলিত নন। তাঁর উৎকণ্ঠার কারণ দলের সেরা স্ট্রাইকারের ছন্দ হারিয়ে ফেলা। জবি নিজেও অস্বস্তিতে। লিগের শেষ পর্বে কেন এ রকম হল তাঁর উত্তর খুঁজছেন।

রবিবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে লাল-হলুদ কোচের প্রধান লক্ষ্যই ছিল জবিকে ছন্দে ফেরানো। সাধারণত ম্যাচের আগের দিন হাল্কা অনুশীলন করান মেনেন্দেস। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পরে আধ ঘণ্টার ম্যাচ প্র্যাক্টিসে দেখে নেন তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুটবলারেরা খেলতে পারছেন কি না। এ দিনই ব্যতিক্রমী ছবি চোখে পড়ল। ম্যাচ প্র্যাক্টিস শেষ হওয়ার পরে দুই স্ট্রাইকার জবি, বালি গগনদীপ সিংহ ও লেফ্ট ব্যাক মনোজ মহম্মদকে নিয়ে মাঠের এক প্রান্তে চলে গেলেন। প্রথমে মনোজকে বললেন দুই স্ট্রাইকারের উদ্দেশে বল ভাসিয়ে দিতে। কিন্তু লাল-হলুদ ডিফেন্ডার ঠিক মতো করতে না পারায় নিজেই একের পর এক সেন্টার তুলতে শুরু করলেন। আলাদা করে কথা বলে ভুলত্রুটি শুধরে দিলেন জবির।

জবি নিজেও মরিয়া ঘুরে দাঁড়াতে। ম্যাচ প্র্যাক্টিসে বাড়তি পরিশ্রম করলেন। তবে এ দিন তাঁর সঙ্গে এক দলে এনরিকে এসকুয়েদাকে রাখেননি কোচ। ছিলেন খাইমে সান্তোস কোলাদো। তাঁদের বিপক্ষে ছিলেন জনি আকোস্তা। অন্য দলে এনরিকের সঙ্গে টোনি দোভাল। বিপক্ষে বোরখা গোমেস পেরেস ও সালামরঞ্জন সিংহ। কারণ, সোমবার লাল-হলুদের আক্রমণের ঝড় থামাতে আইজল কোচ স্ট্যানলি রোজারিও দুই স্টপারের সামনে ব্লকার হিসেবে সম্ভবত আলফ্রেড জারিয়ানকে ব্যবহার করবেন। দলের দুই প্রধান স্ট্রাইকারকে এক দলে না রাখার কারণ অবশ্য অন্য। এক) জবিকে ছন্দে ফেরানো। দুই) কার্ড সমস্যায় আকোস্তাকে এই ম্যাচে পাওয়া যাবে না। কোস্টা রিকার হয়ে দু’টো বিশ্বকাপ খেলা ডিফেন্ডার-হীন লাল-হলুদ রক্ষণ আনসুমানা ক্রোমা, জ়িকাহি দোদোজ়দের আটকাতে কতটা তৈরি তা পরীক্ষা করে নেওয়া। আইজল ম্যাচের মহড়ায় খুশি আলোসান্দ্রো সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ‘‘আমার কাছে ফুটবলারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ দল। তাই জনির না থাকা নিয়ে ভাবছি না। ওর বিকল্প তৈরি।’’

ইস্টবেঙ্গলের পথে কাঁটা ছড়িয়ে দেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন স্ট্যানলি। অনুশীলনে সব চেয়ে বেশি জোর দিলেন রক্ষণ শক্তিশালী করায়। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—জবি, এনরিকেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে না দেওয়া। বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল। খেতাবি দৌড়ে রয়েছে। তবে ফুটবলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আমরা তৈরি ম্যাচের জন্য।’’ স্ট্যানলি অবশ্য আত্মবিশ্বাসী অবনমন বাঁচানো নিয়ে। বললেন, ‘‘এখনও আমাদের চারটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। আশা করছি, অবনমন আটকাতে পারব।’’

সোমবার আই লিগে: ইস্টবেঙ্গল বনাম আইজল এফসি (যুবভারতী, বিকেল ৫টা)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE