অস্ত্র: সুপার কাপ সেমিফাইনালে আমনাই ভরসা সুভাষের। ফাইল চিত্র
সুপার কাপ সেমিফাইনালে আজ, সোমবার ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ সমস্যায় জর্জরিত এফ সি গোয়া। তবুও উদ্বিগ্ন লাল-হলুদের দুই চাণক্য— টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টিডি) সুভাষ ভৌমিক ও কোচ
খালিদ জামিল!
কার্ড সমস্যায় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোয়া কোচ পাচ্ছেন না পাঁচ ফুটবলারকে। বাকি যাঁরা আছেন তাঁদের মধ্যে চার ফুটবলার চোটের কারণে অনিশ্চিত। এ ছাড়া আরও চার ফুটবলার ভুবনেশ্বরের প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখানেই শেষ নয়। সুপার কাপে ২৫ জন ফুটবলার নথিভুক্ত করার কথা। কিন্তু গোয়া করিয়েছিল ২৩ জন ফুটবলার। যার মধ্যে দু’জন গোলরক্ষক। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ গড়াটাই কঠিন হয়ে পড়েছে কোচ ডেরেকের কাছে। অবস্থা সামলাতে দুই গোলরক্ষকের মধ্যে এক জনকে মাঝমাঠে খেলানোর ভাবনা তাঁর। হতাশ ডেরেকের কথায়, ‘‘আমাদের পাঁচ ফুটবলার নির্বাসিত। বাকিদের নিয়ে চেষ্টা করব ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে সাধ্যমতো লড়াই করার।’’ মিডফিল্ডার পরেশ শিরোদকর বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’’
গোয়ার বিপর্যয়ে অশনি সঙ্কেত দেখছেন সুভাষ ও খালিদ! রবিবার বিকেলে ভুবনেশ্বর থেকে ফোনে লাল-হলুদের টিডি বললেন, ‘‘এই গোয়া অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার জন্য মাঠে নামবেন। তাই গোয়া সমস্যায় পড়েছে বলে আমাদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আত্মতুষ্ট হয়ে পড়লেই বিপদ।’’ খালিদের কথায়, ‘‘গোয়াকে হালকা ভাবে নিলেই বিপদে পড়তে হবে। ওদের ফুটবলারদের কাছে এই ম্যাচটা নিজেদের প্রমাণ করার।’’
রবিবার সকালে কলিঙ্গ স্টেডিয়াম সংলগ্ন মাঠে মহম্মদ আল আমনা, ডুডু ওমাগবেমিদের অনুশীলন করান সুভাষ ও খালিদ। গোয়া অনুশীলন করে বিকেলে। তবে ভুবনেশ্বরের গরমকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না ইস্টবেঙ্গল টিডি। সুভাষ বললেন, ‘‘প্রচণ্ড গরমে বিকেল চারটেয় ম্যাচ খেলাটা কঠিন ঠিকই। কিন্তু দু’দলেরই তো সমস্যা হবে খেলতে। তাই গরম নিয়ে ভাবছি না।’’
সুপার কাপ সেমিফাইনাল: ইস্টবেঙ্গল বনাম এফ সি গোয়া (বিকেল ৪টে, স্টার স্পোর্টস টু ও এইচডি টু চ্যানেলে)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy