ফাইল চিত্র
ন’বছর আগে ওয়াংখেড়েতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সেই অবিস্মরণীয় ছক্কা মারার পরে ঠিক কী ঘটেছিল? বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে কী রকম উৎসব করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা, বিশেষ করে সচিন তেন্ডুলকর? হরভজন সিংহের স্মৃতিচারণে আবার ফিরে এল সেই রূপকথার রাত। হরভজন জানাচ্ছেন, ক্রিকেট জীবনের বাইশ বছর পার করার পরে বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে নাচতে শুরু করেছিলেন সচিন।
চারপাশে কে আছে না নেই, সে কথা ভুলে গিয়েছিলেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। একটি চ্যানেলে হরভজন বলেছেন, ‘‘জীবনে ওই প্রথম দেখেছিলাম, সচিন আনন্দে নাচছে। চারপাশে কে আছে না আছে, তা নিয়েই মাথাই ঘামাচ্ছে না ও। সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিল সচিন। ওই ঘটনা জীবনে ভুলব না।’’
তিনি নিজে কী করেছিলেন? হরভজন বলেছেন, ‘‘মনে আছে, সেই রাতে আমি বিশ্বকাপ জয়ের পদকটা নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। যখন ঘুম ভাঙল, তখন দেখলাম পদকটা আমার সঙ্গে রয়েছে। অনুভূতিটা বলে বোঝানো যায় না।’’ এতেই শেষ নয়। হরভজন আরও জানিয়েছেন, জীবনে সেই প্রথম সবার সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। ভাজ্জির কথায়, ‘‘আমরা সবাই মিলে এই স্বপ্নটা দেখে এসেছি। সেই স্বপ্নটা সে দিন সত্যি হয়েছিল। অবিশ্বাস্য একটা মুহূর্ত ছিল বিশ্বকাপ জয়। এখনও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে সে দিনের কথা ভাবলে।’’ ভারতীয় অফস্পিনার এও বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ জয়টা আমাদের কাছে বিশেষ একটা মুহূর্ত ছিল। সবার সামনে বোধ হয় সেই প্রথম আমি কেঁদেছিলাম। তখন কী করব, বুঝতে পারছিলাম না।’’
কপিল দেবের নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পরে আবার ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালের ২ এপ্রিল ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। এর আগে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা হরভজনের থাকলেও সচিন কোনও দিন বিশ্বসেরার ট্রফি হাতে তুলতে পারেননি তার আগে। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পরে সচিনকে কাঁধে নিয়ে ওয়াংখেড়ে ঘুরেছিলেন কোহালিরা। সচিন নিজেও পরে অনেক বার বলেছিলেন, ‘‘আমার জীবনের সব চেয়ে আবেগময় মুহূর্ত বিশ্বকাপ জয়। আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।’’ হরভজনের কথায় পরিষ্কার, বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেটারেরা। তাই তো হরভজন বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে বড় আর কিছু চাওয়ার ছিল না আমার। আনন্দে চোখে জল এসে গিয়েছিল সে রাতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy