একটি দল এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে সব চেয়ে বেশি গোল করেছে। অন্য দিকে, অন্য একটি দল সব চেয়ে কম গোল হজম করেছে এ পর্যন্ত।
প্রথম দলটি হল এফসি গোয়া। এ বারের লিগে যাদের অষ্টম রাউন্ড পর্যন্ত করা ২০ টি গোল সর্বোচ্চ। অন্য দিকে, এ বারই প্রথম আইএসএল-এ আত্মপ্রকাশ করা দল জামশেদপুর এফসি আট ম্যাচে হজম করেছে মোটে চারটি গোল।
বৃহস্পতিবার এই দুই দলই মুখোমুখি হচ্ছে গোয়ার মারগাওতে। ঘরের মাঠে তাই জামশেদপুরের রক্ষণ ভেঙে তিন পয়েন্ট নিয়ে আসাই প্রধান চ্যালেঞ্জ এফসি গোয়া-র। জামশেদপুর এফসি-র কোচ স্টিভ কপেল বলেই দিচ্ছেন, ‘‘লড়াইটা এফসি গোয়ার আক্রমণের সঙ্গে আমাদের রক্ষণের। আমাদের রক্ষণের বড় পরীক্ষা গোয়ার বিরুদ্ধে। মাঠে নেমে যে ভাবেই হোক ওদের গোল করা আটকাতে হবে।’’
মেহতাব হোসেন-দের কোচ জানেন বিপক্ষকে শুধু গোল করতে না দিলেই হবে না। সঙ্গে গোলও করতে হবে। তাই সঙ্গে বলে দেন, ‘‘ওদের রক্ষণের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়াটাও আমাদের কাজ। আর তা খুঁজে গোল চাই। গোলশূন্য ড্র বা এক গোলে জয় আমাদের সব সময়ের স্ট্র্যাটেজি হতে পারে না। আমরাও আকর্ষণীয় ফুটবল খেলে বড় ব্যবধানে জিততে চাই এই অ্যাওয়ে ম্যাচটা।
আরও পড়ুন:
যুবভারতীতে ‘উড়তা পঞ্জাব’, চেঞ্চো ম্যাজিকে তছনছ বাগান
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই মুহূর্তে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে পাঁচ নম্বরে রয়েছে গোয়ার দলটি। অন্য দিকে, গোয়ার চেয়ে তিন পয়েন্ট পিছনে থেকে লিগ টেবলে ছয় নম্বরে রয়েছে স্টিভ কপেল-এর জামশেদপুর।
জামশেদপুর এফসি শেষ ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করেছে। সে কথা মনে করালে মেহতাবদের কোচ বলে দেন, ‘‘রক্ষণে আনাস এডাথোডিকা বেশ কয়েক দিন পরে মাঠে নেমেছিল। ফলে রক্ষণে বোঝাপড়া গড়ে ওঠেনি ওর সঙ্গে রক্ষণ বিভাগের বাকি ফুটবলারদের। এ বার তা হতে দেওয়া চলবে না। ’’
অন্য দিকে, এফসি গোয়া শেষ তিন ম্যাচে কোনও জয় পায়নি। গোয়ার কোচ সের্জিও লোবেরা অবশ্য যার সাফাই দিতে গিয়ে দুষেছেন ক্রীড়াসূচিকে। বলছেন, ‘‘চার দিনে দু’টো ম্যাচ খেলতে হয়েছে। তাই জয়ের চেয়েও বেশি নজর দিতে হয়েছে ফুটবলারদের তরতাজা রাখার ব্যাপারে।’’ গত বছরের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল এফসি-র ফুটবলার লালমুয়ানকিমাকে দলে নেওয়া হলেও জামশেদপুরের বিরুদ্ধে খেলানো হবে না তাঁকে। এমনই খবর টিম সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy