ভারতে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলতে এসে দুই দলই প্রথম ম্যাচে গোলের সুনামি বইয়ে দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নারাজ ফ্রান্স ও জাপান।
রবিবার গুয়াহাটিতে ফ্রান্স ৭-১ হারিয়েছে নিউ ক্যালেডোনিয়াকে। আর জাপান ৬-১ চূর্ণ করেছে হন্ডুরাসকে।
দু’দলের কোচের পাখির চোখ মোটামুটি এক। গ্রুপ সেরা হয়ে নক আউটে ঝাঁপানো। বড় জয় পাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা পরে সোমবার ফরাসি কোচ লিওনেল রোশেঁল বলছেন, ‘‘গ্রুপে আসল লড়াই জাপানের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচটা জিততেই হবে। ক্যালেডোনিয়া প্রথম বিশ্বকাপে খেলছে। কাজেই ওদের হারিয়ে আত্মতুষ্ট হতে চাই না।’’
আরও পড়ুন: আজ কোরিয়ার রক্ষণাত্মক ছকই চিন্তা ব্রাজিলের
জাপানের কোচ ইয়োশিরো মোরিয়ামাও বলছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ বড় ব্যবধানে জেতায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়বে ছেলেদের। কারণ ভারতে আমরা পা দিয়েছি টুর্নামেন্টে যত বেশি সময় পর্যন্ত থাকা যায় সেই লক্ষ্যেই। আর তার জন্য গ্রুপের সেরা হয়ে নক আউটে যাওয়া। তার জন্য দরকার ফ্রান্সকে হারানো। গ্রুপের আসল ম্যাচ তো ওটাই। ’’
দুই শিবিরই সোমবার থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করল সেই লক্ষ্যে। রবিবার জাপানের হয়ে হ্যাটট্রিক করা কিইতো নাকামুরা বা জাপানের বিস্ময় বালক তাকেফুসা কোবো যাতে প্রচারমাধ্যমের নজরে না পড়ে, তার জন্য এ দিন থেকেই সতর্ক জাপান শিবির। এ দিন বিকেলে অনুশীলন ছিল জাপানের। কিন্তু জাপান কোচ সেই অনুশীলন পেলেন গুয়াহাটি শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের এলএনআইপিই মাঠে।
রবিবার ম্যাচ জেতার পরে জাপানের ফুটবলাররা দল বেঁধে চলে গিয়েছিল গ্যালারির কাছে। সেখানে জাপান থেকে আসা একদল সমর্থককে অভিনন্দন জানায় তারা। যা নিয়ে জাপান অধিনায়ক শিম্পেই ফুকুওকা বলছে, ‘‘সমর্থকরা আমাদের একটা লুকোনো শক্তি। তাই সবার আগে ওদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলাম পুরো দল নিয়ে। আশা করছি, টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচেও বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে এ ভাবে ওঁদের ধন্যবাদ জানাতে পারব।’’
অন্য দিকে ফরাসি কোচ রোশেঁল প্রথম ম্যাচ জিতে শহরের বাইরে যদিও অনুশীলন করতে যাননি। তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই তাঁর দলের দুই প্রধান ফুটবলার অ্যামিন গইরি এবং ইসিন অ্যাডলিকে প্রচারমাধ্যমের সামনে পাঠাবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy