কলম্বিয়াকে হারানোর পর জাপান ফুটবল দল। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপের প্রথম রেড কার্ড। তাও আবার ম্যাচ শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। সেই নিয়েই প্রায় ৭৩ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ১-১ ড্র রেখে গেল কলম্বিয়া। ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কার্লোস স্যাঞ্চেজ। পেনাল্টি পেয়ে যায় জাপান। আর সেই পেনাল্টি থেকেই ৬ মিনিটে জাপানের এগিয়ে যাওয়া। কাউন্টার অ্যাটাকে কলম্বিয়ার বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ওসাকা। কিন্তু তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন ওসপিনা। কিন্তু সেই বল নিজের দখলে রাখতে পারেননি ওসপিনা। বল সরাসরি গিয়ে পড়ে কাগাওয়ার পায়ে। তাঁর গোলমুখি শট হাত দিয়ে আটকে জাপানকে পেনাল্টি পাইয়ে দেন স্যাঞ্চেজ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি শিনজি কাগাওয়া।
শুরুতেই ১০ জনে হয়ে গিয়ে ফর্মেশন বদলাতে বাধ্য হন কলম্বিয়া কোচ। এক স্ট্রাইকারে চলে যান তিনি। ১২ মিনিটে ফালকাওয়ের শট অল্পের জন্য বাঁচিয়ে দেন কাওয়াশিমা। ১৪ মিনিটে জাপানেরও নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট। কলন্বিয়াকে দেখে মনেই হচ্ছিল তারা একজন প্লেয়ার কম নিয়ে খেলছে। কিন্তু তার মধ্যেই ঘর গুছিয়ে আক্রমণের কথা দল ভাবছিল তা প্রমাণ হতে বেশি সময় নেয়নি। পর পর সুযোগ তৈরি করতে শুরু করে কলম্বিয়া। কখনও সেভ, কখনও পেনাল্টির আবেদনের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত সমতায় ফেরে কলম্বিয়া।
এই ম্যাচেও ব্যবহৃত হয় ভিডিও রেফারি অ্যাসিস্টেন্ট সিস্টেম। ১০ জনের কলম্বিয়ার হয়ে কাজটি করে যান অধিনায়কই। জুয়ান কুইন্তেরোর শট সাময়িক রুখে দিলেও তা গোল লাইন পেড়িয়ে গিয়েছিল। ভিএআর-এর মাধ্যমে তা ধরা পড়ে যায় স্পষ্ট ভাবেই। প্রথমার্ধের শুরুতে ১০জনে হয়ে গিয়ে গোল হজম করে প্রথমার্ধের শেষে সমতায় ফেরে কলম্বিয়া। কিন্তু এ দিন ভাগ্য সঙ্গে ছিল না কলম্বিয়ার। প্রথমে রেড কার্ড ও পরে সমতায় ফিরেও হেরে যেতে হল জাপানের শেষ মুহূর্তের গোলে। ৭৩ মিনিটে হোন্ডার পাস থেকে ওসাকো গোল করে জাপানকে এগিয়ে দেন। এখান থেকে ার ফিরতে পারেনি কলম্বিয়া।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপ দেখবেন নির্বাসিত ব্লাটার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy