ফিঞ্চের উচ্ছ্বাস। ছবি: এএফপি।
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেরই রেকর্ড ভাঙলেন অ্যারন ফিঞ্চ। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫৬ করেছিলেন ফিঞ্চ। এতদিন যা ছিল সর্বাধিক। তা টপকে গেলেন মঙ্গলবার হারারেতে। ৭৬ বলে করলেন ১৭২। হারারে স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় টোয়েন্টি২০ সিরিজের ম্যাচে নয়া বিশ্বরেকর্ড করলেন তিনি। ২২৬.৩১ স্ট্রাইকরেটে ১০টি ছয় ও ১৬টি চার মারলেন ফিঞ্চ।
তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বকালীন সেরা রান হল না। বিশ্বরেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছেও ক্রিস গেইলকে টপকাতে পারলেন না। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে গেইলের অপরাজিত ১৭৫ রানই সর্বাধিক। তবে তা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসেনি। ২০১৩ সালে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ওই ইনিংস খেলেছিলেন ‘ইউনিভার্স বস’ গেইল।
ওই রেকর্ড টপকাতে গেলে শেষ ওভারে তিন বলে চার রান করতে হত ফিঞ্চকে। বড় শট নিতে গিয়ে হিট উইকেট হলেন তিনি। ফিঞ্চ থামলেন গেইলের থেকে মাত্র তিন রান দূরে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ওপেনিংয়ে ডি’আর্কি শর্টের সঙ্গে যোগ করলেন ২২৩ রান। এটাও টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশি রানের জুটি।
আরও পড়ুন: বেড়েছে পুরস্কারমূল্য, চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৩৮ মিলিয়ন ডলার
আরও পড়ুন: সাত বছরের খুদের অফ স্পিনে হতবাক শেন ওয়ার্ন
শর্ট করলেন ৪৬ রান। অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত দুই উইকেট হারিয়ে তুলল ২২৯ রান। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এটা টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক রান। যাতে ফিঞ্চের অবদান ৭৫.১ শতাংশ। এটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই রেকর্ড। ইনিংসের পর ফিঞ্চ বলেন, “যা ভেবেছিলাম, উইকেট তার থেকেও ভালো ছিল। গেইলের রেকর্ডের কথা জানতাম। যে ম্যাচে গেইল ১৭৫ তুলেছিল, সেই ম্যাচে আমি বিপক্ষ অধিনায়ক ছিলাম। তাই ওই রেকর্ডের কথা ভোলার প্রশ্নই নেই।”
২৩০ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করে জিম্বাবোয়ে নয় উইকেট হারিয়ে থামল ১২৯ রানে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু টাই ১২ রানে নিলেন তিন উইকেট। ১০০ রানে জিতল অস্ট্রেলিয়া। যা এই ফরম্যাটে অজিদের বৃহত্তম জয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy