Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জোকার এ ভাবে ফিরে আসবে ভাবিনি

ইসনার বনাম অ্যান্ডারসনের প্রথম সেমিফাইনাল ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলার কারণে লকাররুমে অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছিল দু’জনকে। কিন্তু তাতে নাদাল বা জোকোভিচের মনঃসংযোগ আদৌ নষ্ট হয়নি।

উৎসব: চ্যাম্পিয়নদের নাচ। ট্রফি জয়ের পরের দিন কের্বার ও নোভাক। টুইটার

উৎসব: চ্যাম্পিয়নদের নাচ। ট্রফি জয়ের পরের দিন কের্বার ও নোভাক। টুইটার

বরিস বেকার
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৫:০৫
Share: Save:

বছর দু’য়েক আগে যেখান থেকে ওর পতন শুরু হয়েছিল, সেই উইম্বলডনেই আবার দুরন্ত ভাবে ফিরে এল নোভাক জোকোভিচ। আমি এখন আর টিম নোভাকের সদস্য নই, কিন্তু আমরা দু’জনে এখনও খুব ভাল বন্ধু। আমাদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে, উইম্বলডনে এলে আড্ডাও হয়। এখন স্বীকার করতে বাধা নেই, গত ২৪ মাসে এমন অনেক সময় গিয়েছে, যখন মনে হয়েছে, জোকোভিচ বোধহয় আর কোনও দিন গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারবে না। চোট আঘাত, কোর্টের বাইরের সমস্যা ক্রমে কোণঠাসা করে ফেলছিল ওকে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন আবার ফিরে এল।

শুধু ফিরে আসাই নয়, বছর দু’য়েক আগে জোকোভিচ যে রকম সার্ভিস আর রিটার্নগুলো করছিল, সে রকমই আবার করছে। রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদালের সঙ্গে একই মঞ্চে আবার নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্য তৈরি জোকোভিচ।

উইম্বলডন ফাইনাল অবশ্য কঠিন কোনও পরীক্ষা হয়ে দাঁড়ায়নি জোকোভিচের জন্য। এর জন্য কিছুটা দায়ী কেভিন অ্যান্ডারসনের ক্লান্তি। সেমিফাইনাল এবং কোয়ার্টার ফাইনালে দু’টো দীর্ঘ ম্যাচ খেলে ও স্বাভাবিক ভাবেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তবে এটাও বলতে হবে, প্রথম দু’টো সেটে দুর্দান্ত সার্ভিস আর সার্ভিস রিটার্ন করছিল জোকোভিচ। তৃতীয় সেটে যখন খেলাটা ধরার চেষ্টা করে অ্যান্ডারসন, তখন নিজের খেলাকে কয়েক ধাপ উন্নত করে ম্যাচ বার করে নিয়ে যায় জোকোভিচ।

এখানে আমি একটা কথা বলতে চাই। সেমিফাইনালে জন ইসনার এবং অ্যান্ডারসনের সাড়ে ছ’ঘণ্টা ধরে চলা ম্যাচটা নিয়ে। ঘাসের কোর্টে এ রকম লম্বা ম্যাচ হতেই পারে। বিশেষ করে যখন দু’জনের সার্ভিসই খুব জোরালো হয়। আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, ও রকম একটা ম্যাচ খেলার পরে ফাইনালে আদৌ নামতে পারবে কি না অ্যান্ডারসন। এই নিয়ে সংগঠকদের একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত। আমার পরামর্শ হল, শেষ সেটে ১২-১২ হয়ে যাওয়ার পরে টাইব্রেকারের সাহায্য নেওয়া হোক। এ বারের উইম্বলডনের সেরা ম্যাচ অবশ্যই সেমিফাইনালে নাদাল বনাম জোকোভিচের লড়াই। ইসনার বনাম অ্যান্ডারসনের প্রথম সেমিফাইনাল ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলার কারণে লকাররুমে অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছিল দু’জনকে। কিন্তু তাতে নাদাল বা জোকোভিচের মনঃসংযোগ আদৌ নষ্ট হয়নি।

মেয়েদের ফাইনালেও প্রত্যাশা অনুযায়ী লড়াই হল না। আমার মনে হয়, ফাইনালের আগে যে বাড়তি দু’ঘণ্টা কোর্টের বাইরে কাটাতে হয়েছে সেরিনা উইলিয়ামসকে, সেখানেই ওর মনঃসংযোগে প্রভাব পড়ে। ফাইনালে সেরিনাকে সেই চেনা ছন্দে দেখা গেল না। উল্টো দিকে অ্যাঞ্জেলিক কের্বারকে শুরু থেকেই জমাট দেখিয়েছে। পরিশ্রমই যে সাফল্যের মূলমন্ত্র, তা উইম্বলডন জিতে আরও এক বার বুঝিয়ে দিল জার্মানির এই চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। সেরিনাকে যতদূর চিনি, তাতে আমি নিশ্চিত এই হারটা জয়ের খিদে আরও বাড়িয়ে দেবে। এখনই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে সেরিনাই ফেভারিট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE