পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
প্রদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের (পিকে) শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। কিংবদন্তি কোচ ও ফুটবলারের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। ৮৩ বছরের এই প্রাক্তন ফুটবল ব্যক্তিত্বকে ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও হাসপাতাল সূত্রের খবর, কোনও ওষুধই আর কার্যকর হচ্ছে না। কিডনিকে সচল রাখতে ডায়ালিসিস চললেও ভারতীয় অলিম্পিক্স দলের অধিনায়ক তা আর নিতে সক্ষম হচ্ছেন না বলে জানা গিয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে রাতের খবর, ডাক্তাররা তাঁদের অপেক্ষা না করে বাড়ি চলে যেতে বলেছেন। পিকে-র মেয়ে পলা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘বাবার অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তাররা বাড়িতে আমাদের অপেক্ষা করতে বলেছেন।’’
ফুটবলার জীবনে বড় ক্লাবের হয়ে কোনওদিন খেলেননি তিনি। ইস্টার্ন রেলের হয়ে খেলতেন। ১৯৫৮ সালে কলকাতা লিগ জিতেছিল ইস্টার্ন রেল। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন পিকে। ক্লাব পর্যায়ে যেমন সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি, জাতীয় দলের জার্সিতেও তিনি দারুণ সফল।১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন পিকে। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তাঁর গোলেই সমতা ফিরিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্কে ভোট পিছনোয় বহু পুরসভায় বসতে পারে প্রশাসক
আরও পড়ুন: রাজ্যে জারি মহামারী আইন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত
১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক্সেও খেলেন পিকে। সেবার তাঁরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-২ গোলে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালের এশিয়ান গেমসে ভারতের জার্সি পরে খেলেছিলেন পদ্মশ্রী পিকে।
১৯৬২ সালের জার্কার্তা এশিয়ান গেমসে ভারত সোনা জিতেছিল। কুয়ালা লামপুরে অনুষ্ঠিত মারডেকা কাপে দেশের হয়ে তিন বার প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ২০০৪ সালে তাঁকে অর্ডার অফ মেরিট প্রদান করে ফিফা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy