ফরাসি ওপেনে সোমবার তারকাদের ম্যাচ নিয়ে মাতামাতি ছিলই। তার মধ্যে নজর কেড়ে নিল ১৭ বছর বয়সি অস্ট্রেলীয় স্কুলছাত্রী জেইমি ফোরলিসের লড়াই। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলীয় ওপেনেই নজর কেড়েছিলেন জেইমি। তবে এ বার লড়াইটা ছিল আরও কঠিন। প্রাক্তন বিশ্বসেরা ক্যারোলিন ওজনিয়াকির বিরুদ্ধে। সেই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ৬-৪, ৩-৬, ৬-২ জিতলেন ড্যানিশ তারকা। তবে জেইমি হারলেও তাঁর ভয়ডরহীন টেনিস সবার নজর কেড়ে নেয়।
রোলঁ গ্যারোজে অভিষেকে তিনিই মূলপর্বে মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিলেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের দিক থেকে। ৩৩৭। কিন্তু সেটা বুঝতে দেননি পারফরম্যান্সে জেইমি। প্রথম সেটে পঞ্চম গেমে সার্ভিস খোয়ানোর পরের গেমেই ওজনিয়াকির সার্ভিস ভেঙে ৪-৪ করে ফেলেছিলেন জেইমি। তাঁর ক্রমাগত শক্তিশালী শটের জবাব দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল গ্র্যান্ড স্ল্যামের দু’বারের সেমিফাইনালিস্ট ওজনিয়াকিকে। বেসলাইনের অনেকটা পিছন থেকে রিটার্ন করতে হচ্ছিল তাঁকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওজনিয়াকির অভিজ্ঞতাই তাঁকে ম্যাচটা জেতাতে সাহায্য করে। তাই দ্বিতীয় সেট হেরেও ম্যাচ দখল করে নেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে জয়ের হ্যাটট্রিক বার্সেলোনার
মেয়েদের সিঙ্গলসে গত বারের চ্যাম্পিয়ন গারবিনে মুগুরুজাও অভিযান শুরু করলেন জয় দিয়ে। প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সেস্কা শিয়াভোনের বিরুদ্ধে ৬-২, ৬-৪ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন তিনি। ২০১০ ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন শিয়াভোনে তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচালেও শেষ পর্যন্ত ফোরহ্যান্ড ভলি বাইরে মারায় মুগুরুজা জিতে যান। চতুর্থ বাছাই মুগুরুজার দাপট এদিন কতটা ছিল সেটা একটা তথ্যেই পরিষ্কার হবে। প্রথম সেটে ৩-২ এগিয়ে যাওয়ার পরে টানা ১৫টি পয়েন্ট দখল করেন তিনি। ইতালির প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভাঙেন পাঁচ বার। ম্যাচ জিতে অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বাসই হচ্ছে না প্রথম রাউন্ডে আমরা দুই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন লড়াই করতে নেমেছি। জানি আমি গত বার এখানে ভাল খেলেছিলাম। তার জন্য বাড়তি কোনও আত্মবিশ্বাস ছিল না এ দিন। আমাকে আত্মবিশ্বাস পেতে হলে এ বার সেটা খেলেই অর্জন করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy