Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঝুলনের মাঠে উজ্জ্বল শিখা

ইডেনে মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক ঝুলন। ৪৪ রানের মাথায় গোয়ার ছ’টি উইকেট ফেলে দিয়েছিলেন নিশা মাজি, গায়ত্রী মল-রা।

হর্ষ-বিষাদ: হেরে হতাশ ঝুলন। উচ্ছ্বাস গোয়ার কোচ দেবিকার। নিজস্ব চিত্র

হর্ষ-বিষাদ: হেরে হতাশ ঝুলন। উচ্ছ্বাস গোয়ার কোচ দেবিকার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০৪
Share: Save:

শিখা পাণ্ডে ও সুনন্দা ইয়েত্রেকরের দাপটে ঘরের মাঠে গোয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারল বাংলা। সেমিফাইনালে বিদর্ভকে ৩৭ রানে হারানোর পর ফাইনালে গোয়ার বিরুদ্ধে একই সংখ্যক রানে হারলেন ঝুলন গোস্বামীরা।

ইডেনে মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক ঝুলন। ৪৪ রানের মাথায় গোয়ার ছ’টি উইকেট ফেলে দিয়েছিলেন নিশা মাজি, গায়ত্রী মল-রা। সেই জায়গা থেকে শিখা পাণ্ডে (৬৬) ও ভারতী গাওঙ্করের (৩২) ৮৫ রানের পার্টনারশিপই ম্যাচে ফিরিয়েছে গোয়াকে। ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১০ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। ম্যাচ শেষে ঝুলন বলেন, ‘‘আমরা বাজে ফিল্ডিং করেছি। তার পরেও ১৪৮ রানের লক্ষ্য খুব একটা বেশি নয়। শুরুতে একটা পার্টনারশিপ দাঁড়িয়ে গেলেই ম্যাচটি জিততে পারতাম।’’

কব্জিতে চোট থাকা সত্ত্বেও সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলেছেন ঝুলন। জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে চ্যালেঞ্জার ট্রফি। তার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। তার আগে এই ম্যাচটি খেলে কি বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেললেন?, উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাকে প্লেট গ্রুপ থেকে এলিট গ্রুপে ওঠানোর সুযোগটা আমি নষ্ট করতে চাইনি। তাই সেমিফাইনালে খেলেছি। আর এই ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নেমেছিলাম। তবে কয়েকদিন পরেই সেরে যাবে।’’

সাত ওভারে ১৩ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে গোয়াকে জয়ের রাস্তা দেখালেন সুনন্দা ইয়েত্রেকর। শেন ওয়ার্নকে দেখেই মিডিয়াম পেসার থেকে লেগ-স্পিনার হওয়ার প্রেরণা পেয়েছেন সুনন্দা। ম্যাচ শেষে আপ্লুত এই লেগ-স্পিনার বলেন, ‘‘উইকেট টু উইকেট বল করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। সে কারণেই ধৈর্য হারিয়েছে বাংলার ব্যাটসম্যানরা।’’

দু’বছর আগে ২০১৫ টি-টোয়েন্টি ফাইনালে গোয়ার কাছেই হারতে হয়েছিল ঝুলনদের। এ বারের ওয়ান ডে ফাইনালেও পথের কাঁটা সেই গোয়াই। দ্রুত উইকেট হারিয়ে ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকারই পরিকল্পনা করেছিলেন গোয়ার অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে শিখা বলেন, ‘‘প্রথমে ছ’উইকেট হারিয়ে আমরা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে আমরা জানতাম, ১৫০ রানের কাছাকাছি যেতে পারলেই দলের বোলাররা তা কাজে লাগাতে পারবে। তাই ওদের বলে দিয়েছিলাম ওভারে তিন রানের বেশি দেওয়া চলবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Goa Bengal Jhulan Goswami Cricket
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE