যে মুহূর্ত বদলে দিল গোটা ম্যাচের চেহারা। বক্সের মধ্যে সোয়াইনস্টাইগারের সেই হ্যান্ডবল। বৃহস্পতিবার। ছবি: রয়টার্স
প্রথমার্ধে ওটাই ছিল বল-এ শেষ টাচ। এবং সেটাই ইউরো ২০১৬-র দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ‘লি়ড’ এনে দেয় বৃহস্পতিবার রাতে। তার আগেই জার্মানি পেনাল্টি বক্সে অধিনায়ক সোয়াইনস্টাইগার বিশ্রী হ্যান্ডবল করে বসেন। ঠিক ইতালির বিরুদ্ধে তাদের আগের কোয়ার্টার ফাইনালে বোয়াতেংয়ের নরম হ্যান্ডবলের মতোই! এ দিনও বিপক্ষকে পেনাল্টি দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি ইতালীয় রেফারি রিজোলি। যার থেকে ন্যয়ারকে উল্টো দিকে ফেলে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন গ্রিজম্যান। পরক্ষণেই হাফটাইমের বাঁশি। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি গ্রিজম্যানই ইউরো সংগঠক দেশের ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করেন নিজের দ্বিতীয় গোল করে। তার ঠিক আগেই পায়েতকে বসিয়ে কোচ দেশঁ নামান কাঁতে-কে। এবং তাঁর তৈরি আক্রমণ থেকেই জিরুঁ হয়ে গ্রিজম্যানের গোল। টুর্নামেন্টে তাঁর ছয় নম্বর গোল। এবং গ্রিজম্যান-ই এ বারের ইউরোর এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা।
ম্যাচের নায়ক গ্রিজম্যান।
বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানির সুইপার কিপার ন্যয়ারের বিরুদ্ধে চলতি ইউরোয় পেনাল্টি গোল বাদে ফিল্ড গোল এ দিনই প্রথম করার নজির গড়েন গ্রিজম্যান তাঁর দ্বিতীয়ার্ধের গোলটিতে। যিনি কিনা এ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পেনাল্টি গোল ‘মিস’ করেছিলেন। তবে গ্রিজম্যানেরও আগে জিরুঁ এ দিন ফ্রান্সকে এগিয়ে দিতে পারতেন। প্রথমার্ধেই তিনি অন্তত দু’টো সহজ সুযোগ হারান। কার্ড ও চোট সমস্যার খেদিরা, গোমেজের অভাবে এ দিনের ম্যাচে জার্মানির মাঝমাঠ পুরো ব্যর্থ। প্রথম নামা ক্যান কিছুই করতে পারেননি। টনি ত্রুজকে উই়থড্রন ফরোয়ার্ড করে জোয়াকিম লো দলের খেলা আরও নষ্ট করে দেন। রবিবার ইউরো ফাইনাল ফ্রান্স বনাম পর্তুগাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy