Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

রাহুল স্যারের জন্যই এই জায়গায়: হার্দিক

বেঙ্গালুরুর এক কিংবদন্তির ড্রেসিংরুমের বাসিন্দা হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন আগের দিনই। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিজের সেই সাফল্যের শিরোপা তিনি দিলেন কিন্তু বেঙ্গালুরুর আর এক কিংবদন্তিকে!

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৪২
Share: Save:

বেঙ্গালুরুর এক কিংবদন্তির ড্রেসিংরুমের বাসিন্দা হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন আগের দিনই। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নিজের সেই সাফল্যের শিরোপা তিনি দিলেন কিন্তু বেঙ্গালুরুর আর এক কিংবদন্তিকে!

তিনি ভারতীয় টেস্ট দলের নবাগত পেসার-অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য। অনিল কুম্বলের কোচিংয়ের ছাত্র হতে পারার জন্য যিনি যাবতীয় কৃতিত্ব দিতে চাইছেন তাঁর প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে।

‘‘ভারত ‘এ’-র হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরের পরেই আমার ক্রিকেট জীবনের সব কিছু পাল্টে গিয়েছিল। ওই সফরটা আমাকে একজন সিরিয়াস ক্রিকেটার করে তুলেছে। যার জন্য আমি রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে কৃতজ্ঞ। ওনাকে যাবতীয় ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার ক্রিকেট উন্নতির পিছনে ওঁর অবদান অসীম,’’ সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলে দিলেন হার্দিক।

ওই সফরে দ্রাবিড়ের সবচেয়ে বড় অবদান হার্দিকের খেলায় কী, সেটাও বলে দিয়েছেন বরোদার তরুণ ক্রিকেটার। হার্দিক বলছেন, ‘‘ক্রিকেট খেলাটার জন্য মানসিক স্কিলটা কতটা জরুরি, কত অপরিহার্য, সে সব রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ভারত ‘এ’-র হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলতে গিয়ে প্রথম বুঝেছিলাম।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘রাহুল দ্রাবিড় আমাকে মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে দিয়েছেন।’’

দ্রাবিড়-সভ্যতায় হার্দিক এতটাই আপ্লুত যে, বলে দিয়েছেন, ‘‘ওই দেড় মাসে আমি রাহুল স্যারের কাছ থেকে যা শিখেছি, মনে হয় না অন্য কারও থেকে কখনও শিখেছি বলে।’’ দ্রাবিড়ের প্রতি কৃতজ্ঞ হার্দিক সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘‘আমার যেটা করা দরকার, উনি ঠিক সেই ব্যাপারে পরামর্শ দিতেন। কী করে আমার মনের অবস্থাটা বুঝতে পারতেন, কে জানে? এমনিতে আমি মানসিক ভাবে শক্তিশালী। কিন্তু ওঁর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছিলাম, আমি আরও অনেক বেশি মানসিক ভাবে শক্তিশালী হতে পারি। আমার বোলিং নিয়ে ইদানীং যে এত কথাবার্তা হচ্ছে, তার কারণ রাহুল স্যার আর ভারত ‘এ’ দলের বোলিং কোচ পরস মামরে।’’

মঙ্গলবারটাকে তাঁর জীবনের বৃহত্তম দিন জানিয়ে হার্দিক বলেছেন, ‘‘তুমি যতই আন্তর্জাতিক ম্যাচ-ট্যাচ খেলো না কেন, টেস্ট দলে ডাক পাওয়াটাই একজন ক্রিকেটারের কাছে আসল। ক্রিকেটে টেস্ট ম্যাচই সবার শেষ কথা। গতকাল বরোদা টিম রায়পুর যাচ্ছিল রঞ্জি খেলতে। আমি টিমমেটদের অনুরোধ করেছিলাম, আমাকে আজকের দিনটা মুম্বইয়ে থাকতে দে। যদি আমি টেস্ট দলে নির্বাচিত না হতে পারি, তা হলে পরের দিনই তোদের সঙ্গে রায়পুরের হোটেলে যোগ দেব। হ্যাঁ, গতকালই আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন গিয়েছে।’’

নিজের বোলিং নিয়ে হার্দিকের ব্যাখ্যা, ‘‘যত বেশি বোলিং প্র্যাকটিস করা যায়, ততই বোলিং আরও বেশি ভাল হবে। অস্ট্রেলিয়া সফরে আমি নেট আর ম্যাচ মিলিয়ে এত বেশি বোলিং করেছিলাম যে, তার সুফল সিনিয়র টিমে ঢুকে পেয়েছি। ভারতের ওয়ান ডে দলের হয়ে আমার বোলিং আরও বেশি ধারাবাহিক হয়েছিল। লেংথ ভাল হয়েছে। বলের গতি বেড়েছে। বেশি ছন্দে ছিলাম। আর তোমার বোলিংয়ে ছন্দ যদি ঠিকঠাক থাকে, বলের পেস এমনিতেই কয়েক গজ বেড়ে যাবে। আমার তাই হয়েছে। এই পর্যায়ের ম্যাচ যত বেশি খেলা যায়, ততই পারফরম্যান্স ভাল হবে।’’ জাতীয় দলের নীল জার্সিতে হার্দিক এত দিন সাদা কোকাবুরা বলে বোলিং করে এসেছেন। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ান ডে-তে। টেস্টে প্রথম দলে সুযোগ পেলে বোলিং করতে হবে লাল এসজি বলে। কিন্তু তিনি আত্মবিশ্বাসী, লাল চেরিকেও কথা বলাতে পারবেন রাজকোট বা বিশাখাপত্তনমের পিচে সুযোগ পেলে।

তবে টেস্টের প্রথম একাদশে নিজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে হার্দিক বেশি কিছু আশা করছেন না। ‘‘রঞ্জিতে বরোদার হয়ে আমি তিন বা পাঁচে ব্যাট করি। কিন্তু ভারতীয় দলে তো সেটা সম্ভব নয়। আমি আট বা নয় নম্বরে নামতে পারলেই যথেষ্ট মনে করব। তবে সেখানেও নিজের সেরাটা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব,’’ বলে দিচ্ছেন হার্দিক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

hardik pandya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE