আইপিএলে এখন দুটো ভাগ হয়ে গিয়েছে। প্রথম অংশে রয়েছে, চারটে দল। যারা ফাটাফাটি খেলবে। বাকি চার শেষ করবে ধুঁকতে ধুঁকতে।
গত বার সেই চেনা ছকটা বদলে দিয়েছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। বলতে গেলে সবাইকে বিপদে ফেলেছে। শুরুতেই ছয়ের ফোয়ারা ছুটিয়েছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আইপিএল মঞ্চ ব্যাবহার করে নিজের ক্রিকেট জীবনকে ভাল জায়গায় নিয়ে এসেছে অক্ষর পটেল। আর বীরু সহবাগ আর মনন ভোরা যেন ছিল গুরু-ছাত্র।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস হয়তো ভাবছে গত বারের পঞ্জাব হয়ে উঠবে। প্রায় প্রতিবারই ওরা টিমে গাদা বদল করে মাঠে নামে। আর টুর্নামেন্টের শেষে বোঝা যায়, পরের বার আবার বদল ঘটতে চলেছে। কিন্তু কাজের কাজটাই হয় না। ম্যাক্সওয়েল, ডে’ভিলিয়ার্স, মাহেলা, পিটারসেন, ওয়ার্নার, বীরু, মর্কেল, গম্ভীর, ধবন... কত সুপারস্টার এল গেল। এ বার আবার ওদের নতুন আশা, যুবরাজ সিংহ। বাউন্ডারির ধারে হাজির থাকছে গ্যারি কাস্টের্ন। দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার ইমরান তাহিরের সঙ্গে জুটিতে অমিত মিশ্র। আর ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা দেখছি দুটো দলে। রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে গুচ্ছের ব্যাটার। সবাই প্রায় মহাতারা। গেইল, কোহলি, ডে’ভিলিয়ার্স। অবশ্য মারাত্মক মিচেল স্টার্ক থাকছে। পাশাপাশি সানরাইজার্সে ছবি ঠিক উল্টো। বোলারে টই টম্বুর। মজাটা হচ্ছে ওদের বোলিং কোচ মুরলীধরণের হাতে স্পিনার শুধু কর্ণ শর্মা। অমিত মিশ্রকেও ওরা ছেড়ে দিয়েছে।
আজ পর্যন্ত আইপিএলের যা প্রবণতা দেখছি, তাতে কিন্তু জয়ের চাবিকাঠি অনেকক্ষেত্রেই থাকে ভারতীয় ছেলেদের হাতে। যে দলই আমাদের দেশজ সম্পদকে গুরুত্ব দিয়েছে তারাই ফসল ফলিয়েছে। উদারণ প্রচুর। চেন্নাই, মুম্বই, রাজস্থান, কলকাতা। সব মিলিয়ে আমার মতে, এই টুর্নামেন্টে ট্রফি তোলার মন্ত্র খুব সরল। একটা ব্যালান্স দল বানাও। এক ঝাঁক ভাল ঘরের ছেলে টিমে রাখো। সঙ্গে ফ্লেমিং, আক্রম, রাহুলদের মতো ক্রিকেটীয় ঋষি-মুনিরা থাক টিমের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy