কানপুর যাওয়ার পথে বিশেষ বিমানে বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে সৌরভ-সচিন-বেঙ্গসরকররা। -টুইটার
বৃহস্পতিবারটা ভারতের পাঁচশোতম টেস্ট ম্যাচ শুরুর দিন হয়ে থাকছে। এটা একটা বিরাট মাইলফলক। এবং ভারতীয় বোর্ড খুব ন্যায্য ভাবেই যেটাকে স্মরণীয় করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব পুরনো এবং জনপ্রিয় কানপুরের গ্রিন পার্ক এই ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচের কেন্দ্র। গত কয়েক বছরে যেখানে সুযোগ সুবিধের বিরাট উন্নতি ঘটেছে।
ভারতীয় ক্রিকেটের এ এক অসাধারণ সফর! যার মাধ্যমে এ দেশে কয়েক জন চ্যাম্পিয়ন সৃষ্টি হয়েছে। যে সফর এ দেশকে ক্রিকেটে আচ্ছন্ন করে তুলতে পেরেছে। ভারতীয় বোর্ড তার পেশাদারিত্ব আর দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে খেলাটার উন্নতি ঘটিয়েছে। আর সেটা বিনা পারিশ্রমিকে করেছেন কিছু মানুষ, কেবল ক্রিকেট খেলাটাকে দারুণ ভালবেসে।
ঐতিহাসিক টেস্টে ভারত মোকাবিলা করবে নিউজিল্যান্ডের। তিন টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচ নিয়ে উৎসাহ কানপুরকে ইতিমধ্যেই গ্রাস করেছে। কানপুরের কন্ডিশন অতীতে বরাবর বিদেশি দলের পরীক্ষা নিয়েছে। বিশেষ করে বাউন্সের প্রশ্নে। কিন্তু সময়, ভারতীয় ক্রিকেট এবং স্বয়ং ক্রিকেট খেলাটার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কন্ডিশনেরও বিরাট পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে।
স্লো, লো বাউন্সের দিন শেষ। ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও সবুজ পিচ আর শীতকালের ঠান্ডা আবহাওয়া এ দেশেও সিম বোলিংকে অনেক বেশি কার্যকর করছে। যেটা হয়তো আজ গ্রিন পার্কের জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘গ্রিন পার্ক’ নামটা অন্তত অর্থবহ হয়ে উঠেছে। স্টেডিয়ামটার মাঠ এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধের লাগাতার উন্নতির কারণে। আগামী পাঁচ দিনের জন্য আমার মতে এটা একটা দারুণ টেস্ট কেন্দ্র হয়ে উঠবে। বোর্ডের লক্ষ্য হল, দেশের ছোট ছোট ক্রিকেট কেন্দ্রগুলোতে টেস্ট ম্যাচ করা। আশা করি ভারতীয় ক্রিকেটের এই বিরাট মুহূর্তে দর্শকেরা রোজ মাঠ ভরিয়ে আসবেন, ঐতিহাসিক টেস্টের আনন্দ নিতে।
ব্ল্যাক ক্যাপেরা গ্রিন পার্কের পিচ খুব ভাল ভাবে দেখেছে। অতীতে ভারতে পাঁচ দিনের ম্যাচ মানেই বিদেশি দল আশা করত, শুকনো পিচ আর তাতে বল ঘুরবেই। সাম্প্রতিক কয়েকটা টেস্ট ম্যাচও তিন দিনে শেষ হয়ে গিয়েছে। যদিও আমি ভীষণ ভাবে বিশ্বাস করি, টেস্ট ম্যাচে দর্শকদের ফিরিয়ে আনতে পারে ভাল পিচ। লোকে ব্যাট-বলের সমানে-সমানে লড়াই দেখতে চান। স্কোয়্যার টার্নার কেবল ম্যাচের ফয়সালা করতে পারে। আমি এ ব্যাপারে ভারতের নতুন কোচ-ক্যাপ্টেন জুটির দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে আগ্রহী।
নিউজিল্যান্ড ওদের দু’জন অপরিহার্য প্লেয়ারকে চোটের জন্য হারিয়েছে। তা সত্ত্বেও ওরা যথেষ্ট উন্নত একটা টিম। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যবহার করাটা এখনও পর্যন্ত ফলপ্রসূ হওয়ায় কানপুরেও ভারত পাঁচ বোলারে নামবে মনে হচ্ছে। অশ্বিনকে এই সিরিজে অতীতে ঘরের মাঠে অনেক টেস্ট সিরিজের তুলনায় বেশি করে ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখতে চাইবে দল। এবং অতি সম্প্রতি সেন্ট লুসিয়ার কঠিন উইকেটে অশ্বিনের সেঞ্চুরি এবং ঋদ্ধিমানের সঙ্গে সেই পার্টনারশিপ ওর আত্মবিশ্বাস নির্ঘাত প্রচুর বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের পাঁচ বোলারের মধ্যে তিন জন স্পিনার থাকার কথা। তবে ফাস্ট বোলিংও এই টেস্টে বড় ভূমিকা নেবে। বিশেষ করে যখন রিভার্স সুইং এখন ক্রিকেট ম্যাচ মাত্রই একটা বিরাট ফ্যাক্টর!
আজ টিভিতে
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (স্টার স্পোর্টস ১, সকাল ৯-০০)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy