Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বেশি ভাবিই না, বল দেখি আর খেলি, বলছেন ঋষভ

পেসারদের সাফল্যে অংশ নেওয়ার প্রতিক্রিয়া: দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। আমি ওদের সকলের সঙ্গেই খেলেছি আইপিএলে ও ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার অর্থই অন্য রকম। আমার কাছে টেস্ট খেলাটা ছিল একটা স্বপ্ন। 

নজরে: অভিষেক টেস্টেই প্রশংসিত ঋষভ পন্থ। ফাইল চিত্র

নজরে: অভিষেক টেস্টেই প্রশংসিত ঋষভ পন্থ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২৪
Share: Save:

কুড়ি বছর বয়স কে বলবে! অভিষেক টেস্ট খেলে উঠলেন কে বলবে! বরং আইপিএলের জমানায় তিনি— ঋষভ পন্থ বেশ তৈরি। মাঠে অভিষেক টেস্টে যেমন স্বাভাবিক দেখাচ্ছিল, তেমনই মনে হল মাইক হাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময়। ‘বল দেখি আর মারি’ গোছের মন্তব্য শুনে কারও কারও মনে পড়ে গেল বীরেন্দ্র সহবাগের কথা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে এসে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে যে রকম ব্যাটিং করে গেলেন দিল্লির নতুন প্রতিভা—

পেসারদের সাফল্যে অংশ নেওয়ার প্রতিক্রিয়া: দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। আমি ওদের সকলের সঙ্গেই খেলেছি আইপিএলে ও ঘরোয়া ক্রিকেটে। কিন্তু দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার অর্থই অন্য রকম। আমার কাছে টেস্ট খেলাটা ছিল একটা স্বপ্ন।

বিশেষ কোনও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন কি না: ইংল্যান্ডে উইকেটকিপিং করা সহজ নয়। বল অনেক বেশি সুইং করে। তবে আমি গত দুই-আড়াই মাস ধরে ইংল্যান্ডেই খেলছিলাম ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে। সেই কারণে আমার প্রস্তুতিতে বেশ সুবিধে হয়েছে। সিনিয়র দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর থেকে প্র্যাক্টিসেও চেষ্টা করে গিয়েছি মানিয়ে নেওয়ার।

অভিষেক টেস্টের অভিজ্ঞতা: আমি স্নায়ুর চাপে ভুগছিলাম। সকলেরই যা হয়। আমি যখন বলটা দেখি, খুব বেশি কিছু ভাবি না।

রুরকি থেকে দিল্লি, টি-টোয়েন্টি থেকে টেস্ট: আমি শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। মোটেও সেটা সহজ নয়। প্রত্যেকের জীবনেই সংগ্রাম থাকে। আমারও আছে। কিন্তু আমি এটাই শিখেছি যে, অধ্যাবসায় নিয়ে যদি পরিশ্রম করে যায় কেউ, তা হলে তার ফল সে পাবেই।

ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়ক হওয়াটা সাহায্য করল কি না: অধিনায়ক হওয়াটা সাহায্য করেছে নিশ্চয়ই কারণ অধিনায়ক হওয়া মানে অনেক বাড়তি দায়িত্ব নেওয়া। যদি চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা ঠিকঠাক ভাবে করা যায়, তা হলে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সেই অভিজ্ঞতা সাহায্য করে। আইপিএলে ভাল খেলাটাও উপকার করছে। যদি দলকে জেতানোর ব্যাপারে ভূমিকা নিতে পারি, সেটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। দলে অন্যদের বিশ্বাস জিততে পারলে কাজে দেয়। তার পরে চোখের সামনে সিনিয়ররা রয়েছে, তারকারা রয়েছে, তাদের দেখে শেখা যায়।

দ্বিতীয় বলেই ছক্কা: আমি কিছুই ভাবছিলাম না। বলটা দেখে যা মনে হয়েছিল, সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। ভাবছিলাম না যে, এই বলটায় ছক্কা মারতে হবে। নিজের স্বাভাবিক ক্রিকেটই খেলছিলাম।

টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন: আমি জানি না অন্যরা কী বলছে। আমি শুধু নিজের ক্রিকেটের উপরেই মনঃসংযোগ করতে চাই।

অভিষেক টেস্টের পরে দলের প্রশংসা পেয়েছেন কি না: দলের প্রত্যেকে জানে আমি কী রকম কিপিং করি। কারও প্রশংসা পাওয়ার জন্য আমি কিছ করি না। সব সময় একটাই লক্ষ্য থাকে— টিমের হয়ে মাঠে নেমে ভাল করা, টিমের কাজে আসা।

ইংল্যান্ডে কিপিংয়ের শিক্ষা: ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে এখানে গত দু’মাস ধরে কিপিং করেছি। এটাই শিখেছি যে, ব্যাটের কাণায় লেগে বল আসার অপেক্ষায় থাকতে হবে। তৈরি থাকতে হবে খোঁচাটার জন্য। যে কোনও মুহূর্তেই আসতে পারে।

রাহুল দ্রাবিড়ের ভূমিকা: আমি রাহুল স্যরের কাছে কৃতজ্ঞ কিন্তু আমার ছোটবেলার কোচ তারক সিনহার কথাও বলতে চাই। আমার জীবনের প্রত্যেকটি পদক্ষেপে তারক স্যর আমাকে সাহায্য করেছেন। আমার কঠিন সময়ে পাশে থেকেছেন। আর আমি বিশ্বাস করি, যদি তোমাকে কেউ কখনও সাহায্য করে তা হলে সেটাকে অবশ্যই স্বীকৃতি দাও। তারক স্যরকে বলতে চাই, থ্যাঙ্ক ইউ!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cricket Test Rishabh Pant India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE