নিজেকে ‘সৎ ও স্বচ্ছ’ বলে দাবি করলেন সনৎ জয়সূর্য। —ফাইল চিত্র
আইসিসি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার কথা তুলে দুর্নীতি দমন শাখার আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ এনেছে। তা নিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিক্রিয়া দিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার। এক বিবৃতিতে তিনি নিজেকে ‘সৎ ও স্বচ্ছ’ বলে দাবি করেছেন।
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ও প্রাক্তন নির্বাচকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তে তিনি সহযোগিতা করতে চাননি। এ ছাড়াও বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ বিকৃত ও লোপাট করে সংশ্লিষ্ট তদন্তে ‘বাধা দেওয়ার ও বিলম্বিত করার চেষ্টা’ তিনি করে থাকতে পারেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে আইসিসি। প্রথম অভিযোগ সত্যি প্রমানিত হলে জয়সূর্য ছ’মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ক্রিকেটের যে কোনও পদ থেকে নির্বাসিত হতে পারেন। দ্বিতীয় অভিযোগ প্রমানিত হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাঁকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে।
এই অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য যে ১৪ দিন (৩১ অক্টোবর) সময় পেয়েছেন জয়সূর্য, সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাঁকে কোনও মন্তব্য করতে নাকি নিষেধ করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। সেই কারণেই সম্ভবত সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘ক্রিকেটে বরাবরই নিজেকে সৎ ও স্বচ্ছ রেখেছি আমি। ভবিষ্যতেও তেমনই থাকব। তবে এই ব্যাপারে আমাকে মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে। মন্তব্য করলে সেটা আইসিসি-র নিয়ম ভাঙা হবে।’’
শ্রীলঙ্কার জাতীয় নির্বাচকদের প্রাক্তন প্রধান ও সে দেশের প্রাক্তন সাংসদ জানিয়েছেন আইসিসি-র কাছে জবাব দেওয়ার পরে তিনি এই ব্যাপারে মুখ খুলবেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আইসিসি যে অভিযোগগুলি করেছে, তার সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিং, পিচ ফিক্সিং বা সেই ধরনের দুর্নীতির সম্পর্ক নেই।’’
আইসিসি-র পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়নি, ঠিক কোন কোন ঘটনায় জয়সূর্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। উল্টে নিয়ামক সংস্থা এ মাসের শুরুতেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিল যে, খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ গড়াপেটা তদন্তের জন্য তাদের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা শ্রীলঙ্কায় রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট তদন্তের ব্যাপারে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ক্রীড়ামন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে বলে আইসিসি বিবৃতিতে জানিয়েছিল।
জয়সূর্য যদি অভিযোগ স্বীকার না করেন, আইসিসি একজন কমিশনার নিযুক্ত করবে শুনানির জন্য। যেখানে নিয়ামক সংস্থার দূর্নীতি দমন বিভাগকে জয়সূর্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। অন্য দিকে জয়সূর্যকেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
শ্রীলঙ্কার এক সংবাদপত্র জানিয়েছে, ২০১৫ সালে গলের কিউরেটর জয়ানন্দ বর্ণবীরা দুর্নীতি দমন বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা না করায় যে তিন বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন, তখন থেকেই আইসিসি এই তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তেই এসে পড়তে পারে জয়সূর্যের নাম। গত বছর জিম্বাবোয়ের কাছে শ্রীলঙ্কার সিরিজ হার নিয়েও আইসিসি তদন্ত শুরু করে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে আইসিসি-র দল কলম্বোয় গিয়েছিল এই তদন্তেরই কাজে। শ্রীলঙ্কায় জয়সূর্যের মতো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এত গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বলেই এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy