প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের আক্রমণের ধাক্কা কতটা সামলানো যায়, তা নিয়ে আজ, শুক্রবার ভিডিয়ো কনফারেন্সে বসবেন আইসিসি বোর্ডের সদস্যরা। সামনে যে সব প্রতিযোগিতা আছে, তার ভাগ্য কী হতে পারে, তা নিয়েই আলোচনা হবে এই বৈঠকে।
তবে সেই বৈঠকের আগেই আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, ৩০ জুন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যাতা অর্জন পর্বের যে সব প্রতিযোগিতা ছিল, তা আপাতত পিছিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিশ্ব জুড়ে যে সব নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তা মাথায় রেখে আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জুন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়া হবে।’’ আইসিসি এও জানিয়ে দিয়েছে, ‘‘পুরুষদের ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের জন্য এ বছরের যে যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রতিযোগিতাগুলো আছে, তার উপরে নজর রাখবে আইসিসি।’’ তবে এই বছরে অক্টোবরে যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, তার সূচি অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, করোনাভাইরাসের ভয়াল আক্রমণ থেকে কি এ বছরের পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বেঁচে যাবে? বিরাট কোহালিদের খেলতে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে? আয়োজক অস্ট্রেলিয়া এবং আইসিসি এই নিয়ে কিছু দিন আগেও আশা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তার পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। যে কারণে ভিডিয়ো কনফারেন্সের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তবে এই বৈঠকে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হওয়া কঠিন।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়া নিয়ে বিশেষ সংশয় নেই, কিন্তু বিশ্বজুড়ে এই রকম লকডাউন আর দু’-তিন মাস যদি চলতে থাকে, তা হলে প্রতিযোগিতার ভাগ্য নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে যাবে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াকেই ঠিক করতে হবে, তারা কী করবে। ক্রিকেটারদের অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার ব্যাপারে সে দেশের সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, তাও দেখার।
আলোচনা হবে চলতি টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে। করোনার দাপটে যদি আরও টেস্ট সিরিজ পিছিয়ে যেতে থাকে, তা হলে পয়েন্ট কী ভাবে ভাগাভাগি হবে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ পিছিয়ে গিয়েছে। আরও সিরিজ পিছোতে থাকলে নতুন ক্রীড়াসূচি ঠিক করাটাও বিশাল সমস্যা হয়ে যাবে আইসিসির কাছে। জুনে ইংল্যান্ডে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, জুলাইয়ে পাকিস্তানের। অগস্টে আবার বাংলাদেশে যাবে নিউজ়িল্যান্ড। ভারতের পরের টেস্ট সিরিজ, নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সংবাদ সংস্থাকে এক বোর্ডকর্তা বলেছেন, ‘‘একটা সিরিজ পিছনো মানে তার পরের গুলোর উপরেও প্রভাব পড়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy