রহস্যের পিছনে অনিল মুনাওয়ার নামের এক ম্যাচ গড়াপেটার পাণ্ডা। তাঁর ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতেই এ বার ম্যাচ গড়াপেটার এক বিশ্লেষক সংস্থাকে ভাড়া করল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি।
কেন এই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আইসিসি-র এই তৎপরতা? সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেলের ‘স্টিং অপারেশন’-এ দেখা যায়, মুনাওয়ার দাবি করছেন, সাম্প্রতিক অতীতে কিছু টেস্ট ম্যাচের ‘সেশন’ নাকি গড়াপেটা হয়েছে। মঙ্গলবার আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে যা জানা গিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই ম্যাচ গড়াপেটার বিশ্লেষক একটি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য, যে ম্যাচগুলি নিয়ে অভিযোগ, তার যাবতীয় তথ্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা।’’
সম্প্রতি মুনাওয়ারকে আল-জাজিরা টিভিতে সম্প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে দেখা গিয়েছে। যেখানে দেখা যায় ভারত ও পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারকে। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ওই ক্রিকেটারের নাম রবিন মরিস। আর পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হাসানা রাজা। এ বার সেই তথ্যচিত্রে মুনাওয়ার ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখতেই আসরে নেমেছেন আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার কর্মকর্তারা। তথ্যচিত্রে মুনাওয়ার দু’টি টেস্ট ম্যাচ গড়াপেটা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। যার একটি আবার ২০১৭ সালে রাঁচিতে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ।
সম্প্রতি ওই তথ্যচিত্রের প্রথম পর্ব সম্প্রচারের পরে সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেল জানায় শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার হবে। যেখানে একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবেন মুনাওয়ার। আর এর পরেই নড়েচড়ে বসেছেন আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার কর্মকর্তারা। আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল জানিয়েছেন, ‘‘ওই তথ্যচিত্রে দেখানো প্রতিটি ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি আমরা। তার পরে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ম্যাচ গড়াপেটা প্রসঙ্গে কথাও হয়েছে আমাদের।’’ মার্শাল আরও বলেন, আইনি সংস্থাগুলোও মুনাওয়ারের গতিবিধি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে।
মার্শাল যোগ করেন, ‘‘কে এই মুনাওয়ার, তা আমাদের কাছেও একটা রহস্য। কারণ, এখনও তাঁর গতিবিধি আমাদের কাছে খুব একটা স্পষ্ট নয়। অথচ, সংশ্লিষ্ট তথ্যচিত্রের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন এই ব্যক্তি। মুনাওয়ারকে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে।’’
জানা গিয়েছে, মুনাওয়ারের ব্যাপারে সম্প্রচারকারী টেলিভিশন সংস্থার কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিল আইসিসি। কিন্তু ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই নিয়ামক সংস্থার দাবি, এক্ষেত্রে কোনও সাহায্য নাকি তারা পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy