তাঁর নামের পাশে লেখা ৩৩ রানে চার উইকেট। শনিবার ওভালে প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ছয় উইকেটে জয়ের পরে ট্রেন্ট বোল্ট জানিয়ে দিলেন, বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে তাঁদের দল আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেল।
শুধু তাই নয়। ইংল্যান্ডের নিষ্প্রাণ উইকেট নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তারই মধ্যে শনিবারের ম্যাচে নিউজ়িল্যান্ডের বাঁ হাতি পেসার যে সুইং পেলেন, সেটাও তাঁর দলকে স্বস্তিতে রাখল। বোল্ট বলেছেন, ‘‘বল কিছুটা হলেও সুইং করছে, সেটা দেখেই আমি খুশি। আশা করছি, ইংল্যান্ডের অন্যান্য পিচ থেকেও সামান্য হলেও সেই সুবিধা পাব। আমার কাছে এই বিশ্বকাপ বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।’’
এ বার বিশ্বকাপে তিনি পাশে পাচ্ছেন টিন সাউদি, লকি ফার্গুসন এবং ম্যাট হেনরিকে। তা ছাড়া মিডিয়াম পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে থাকছেন জিমি নিশাম এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। বোল্ট বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের সময়ে উইকেট কী ধরনের আচরণ করবে, সেটা আমরা জানি না। তবে এটা বলতেই পারি, আমাদের বোলিং বিভাগ এ বার সমস্ত পরিস্থিতিতে ভাল কিছু করার জন্য তৈরি। ভারতের মতো দলের বিরুদ্ধে জয় আমাদের বোলিং বিভাগকেও চাঙ্গা করে দিয়েছে।’’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বারের বিশ্বকাপ বড় রানের হতে চলেছে। বিশেষ করে, সদ্যসমাপ্ত ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ওয়ান ডে সিরিজে প্রায় সমস্ত ম্যাচেই সাড়ে তিনশোর উপরে রান উঠেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিউজ়িল্যান্ড পেসাররা কতটা তৈরি থাকছেন? বোল্ট বলেছেন, ‘‘এটা ঠিক যে, বল যখন সুইং করবে না তখন বোলারদের কাছে কাজটা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াই এ বার কঠিনতম চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। তবে এটাও ঠিক, শুরুর দিকে উইকেট তুলে নিতে পারলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।’’ সেখানেই না থেমে বোল্ট আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের শুরুর দিকের ওভারগুলোতে অনেক বেশি আগ্রাসী বোলিং করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে হবে। উপরের সারির দু’তিনজন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিলেই কিন্তু ম্যাচের রং পাল্টে যাবে। আমরা এই প্রাথমিক ব্যাপারটার উপরে এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। এবং নিজের ব্যাপারে বলতে পারি, সুইংয়ে বিশেষ জোর দিয়েই প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের আমরা সারাক্ষণ আক্রমণ করতে চাইব।’’
তবে সতর্ক থাকছেন নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে জিতলেও সেই ম্যাচের ফলকে তিনি খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নন। উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘‘জয় যে কোনও সময়েই তৃপ্তির। তবে এ-ও ঠিক, আসল ম্যাচের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচের কোনো তুলনাই চলে না। সচরাচর প্রস্তুতি ম্যাচে কোনও দলই সেই মানসিকতা নিয়ে খেলে না যেটা তারা আসল সময়ে খেলে থাকে।’’ বোল্টের মতো তাঁর দলের অধিনায়কও মানছেন, ইংল্যান্ডের উইকেট থেকে শুরুর দিকে সুইংয়ের সুবিধা তুলে নিতে হবে তাঁর দলকে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘স্পিনাররা এই পিচে কতটা কী করতে পারবে, সেটা নিয়ে বেশি না ভাবাই ভাল। বরং পেসারদের শুরুর দিকে আক্রমণাত্মক বোলিং করতে হবে। সেই সময়ে বেশ কয়েকটি উইকেট পেয়ে গেলে ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।’’ আগামী মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে নিউজ়িল্যান্ড। উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘‘সেই ম্যাচেও পেসারদেরই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। বোলিংটাকে শক্তিশালী এবং ধারাবাহিক রাখতেই হবে আমাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy