Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জানতাম শেষ ওভার আমিই করব: আর্চার

২৪ বছর বয়সি আর্চারের এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। সেখানে সুপার ওভারের দায়িত্ব পেয়ে কী রকম অনুভূতি হচ্ছিল তাঁর?

উচ্ছাস: সুপার ওভারে জয়ের পর জোফ্রা আর্চার ও বাটলার।—ছবি এপি।

উচ্ছাস: সুপার ওভারে জয়ের পর জোফ্রা আর্চার ও বাটলার।—ছবি এপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩৬
Share: Save:

বিশ্বকাপের ১৫ জনের প্রাথমিক দলে জায়গা হয়নি জোফ্রা আর্চারের। রবিবার লর্ডসে তাঁর হাতেই দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। সুপার ওভারে নিউজ়িল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। কিন্তু আর্চারের দাপটে ১৫ রানে আটকে বিশ্বকাপ হাতছাড়া করে নিউজ়িল্যান্ড। ইংল্যান্ড জেতে ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে।

২৪ বছর বয়সি আর্চারের এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। সেখানে সুপার ওভারের দায়িত্ব পেয়ে কী রকম অনুভূতি হচ্ছিল তাঁর? ম্যাচ শেষে আর্চার বলেন, ‘‘জানতাম, আমার হাতেই ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব এসে পড়তে পারে। মানসিক ভাবে তৈরিও ছিলাম। তাই মর্গ্যানের কাছে গিয়ে আরও এক বার জিজ্ঞাসা করি যে, আমাকেই শেষ ওভার করতে হবে কি না। অধিনায়ক নির্দ্ধিধায় বলে দেয়, আমাকেই সেই কাজটি করতে হবে।’’

কিন্তু প্রথম কয়েকটি বলে রান দিয়ে ফেলেন আর্চার। ওই সময় কি চাপে পড়ে গিয়েছিলেন? আর্চার বলছেন, ‘‘নিশাম ছয় মারার পরে প্রচণ্ড চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মাঠা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করি। শেষ বলটি ঠিক জায়গাতে ফেলতে পারিনি ঠিকই, কিন্তু সেখান থেকে ছয় মারাও সম্ভব ছিল না। যাই হোক, স্বপ্নপূরণ হল।’’

কৌশলে সফল প্লাঙ্কেটে: বিশ্বকাপের আগে বলা হচ্ছিল, ইংল্যান্ডের ব্যাটিংই দলের আসল শক্তি। দলের বোলাররা সে রকম নম্বর পাচ্ছিলেন না ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। এমনকি, পাকিস্তানের কাছে হারের পরে তো ইংল্যান্ড বোলারদের কাঠগড়ায় তোলাও হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে এসে ইংল্যান্ডের বোলাররাই চমক দেখিয়ে গেলেন।

লর্ডসের সবুজ পিচে টস জিতে ব্যাট নিয়েছিলেন নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আকাশও মেঘলা ছিল। যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিউজ়িল্যান্ডকে আড়াইশোর কমে আটকে রাখলেন ইংল্যান্ডের পেসাররা। তিনটে করে উইকেট নিলেন ক্রিস ওকস এবং লায়াম প্লাঙ্কেট।

নিউজ়িল্যান্ড ইনিংসের পরে প্লাঙ্কেট টিভি-তে বলছিলেন, ‘‘পিচটা খারাপ নয়। আমরা ঠিক লাইন-লেংথে বল রেখে নিউজ়িল্যান্ডকে আড়াইশোর কমে আটকে রাখতে পেরেছি।’’ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলছেন, এ রকম স্বপ্ন কি ছোটবেলায় দেখতেন? প্রশ্নের জবাবে ইংল্যান্ডের এই পেসার বলেন, ‘‘মাঝে মধ্যে মনে হয় সব কিছু যেন স্বপ্ন। বারো বছর আগেও ভাবতে পারিনি কোনও দিন এ রকম একটা সময় আসবে। যখন দেশের হয়ে ফাইনাল খেলতে নেমে আমি কিছু অবদান রেখে যেতে পারব।’’

ওয়ান চেঞ্জ হিসেবে বল করতে এসে নিউজ়িল্যান্ড ইনিংসকে ধাক্কা দেন প্লাঙ্কেট। ফিরিয়ে দেন জমে যাওয়া দুই ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন এবং হেনরি নিকোলসকে। আপনার ভূমিকা ঠিক কী ছিল? প্লাঙ্কেট বলেছেন, ‘‘খেলতে নামার আগে নিজের ভূমিকাটা জানা থাকলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। আমার কাজটা ছিল, বল জোরের উপরে পিচে ফেলা। আর যতটা সম্ভব বৈচিত্র আনা বোলিংয়ে। সেটাই করে গিয়েছি। বিভিন্ন ধরনের বল করেছি আর আশা করেছি ব্যাটসম্যানরা ভুল করবে।’’ ঠিক কী ধরনের বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেছেন? প্লাঙ্কেটের জবাব, ‘‘আমি বেশির ভাগ বল ক্রস সিমে করার চেষ্টা করেছি। খুব কম বলই সিমটা সোজা রেখে করেছি।’’ প্লাঙ্কেট এও বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে এই ধরনের বোলিং করেই সাফল্য পেয়েছি। তাই এই কৌশল বদল করার কোনও ইচ্ছে আমার ছিল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE